স্টাফ রিপোর্টার: রাজ্য সভাপতি পদে নতুন মুখ আসার পর নতুন রাজ্য কমিটি নিয়ে প্রবল চর্চা রাজ্য বিজেপির (BJP) অন্দরে। আর সেই চর্চার মাঝেই কলকাতায় আসছেন সংঘপ্রধান মোহন ভগবত (Mohan Bhagwat)। দু’দিনের এই সফরে তাঁর সঙ্গী যুগ্ম সরকার্যবহ অরুণ কুমার (Arun Kumar)। সর্বভারতীয় স্তরে যিনি সংঘ ও বিজেপির মধ্যে সমন্বয়ের দায়িত্বে। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের দক্ষিণবঙ্গের প্রান্ত কার্যবহ জিষ্ণু বসু জানিয়েছেন, আগামী সোমবার, ১৫ নভেম্বর রাতে কলকাতায় আসছেন সংঘপ্রধান। ১৬ ও ১৭ তারিখ একাধিক সাংগঠনিক বৈঠক আছে তাঁর। কলকাতা ছাড়বেন বৃহস্পতিবার। জিষ্ণুবাবুর কথায়, সরসংঘচালকের এবারের সফর পুরোটাই সাংগঠনিক।
সংঘের বিভিন্ন বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। তবে সূচি অনুযায়ী বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কোনও কথা নেই। রীতি অনুযায়ী সংঘপ্রধান কোনও রাজ্যে সফরে গেলে সেখানকার বিশিষ্টজনদের সঙ্গে দেখা করে থাকেন। কোভিডের (COVID-19) কারণে সেই ‘প্রবুদ্ধজন বৈঠক’ হচ্ছে এবার ভারচুয়াল মঞ্চে। দক্ষিণবঙ্গের প্রান্ত প্রচার প্রমুখ বিপ্লব রায় জানিয়েছেন, সফরের প্রথম দিন মঙ্গলবার বিকেলে ওয়েবিনারের মাধ্যমে রাজ্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্টজনদের সঙ্গে মিলিত হবেন সংঘপ্রধান। বুধবার সকাল থেকে বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্তদের সঙ্গে বৈঠক হবে তাঁর।
[আরও পড়ুন: সাতসকালে কাশ্মীরে জোড়া এনকাউন্টার, খতম হিজবুলের শীর্ষ কম্যান্ডার-সহ দুই জঙ্গি]
“সরসংঘচালকের আলোচ্যসূচিতে এবার জোর দেওয়া হচ্ছে মূলত তিনটি বিষয়ের উপর। ২০২৪-এর মধ্যে রাজ্যের প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত ও শহরাঞ্চলের প্রতি ওয়ার্ডে শাখা খোলা, বাংলার শিল্প মূলত পাটশিল্পের উন্নয়ন ও প্রসার এবং দুর্গাপুজোয় বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন। সরসংঘচালকের সফরসূচি ‘রাজনীতিহীন’ হলেও নজর কেড়েছে তাঁর সফরসঙ্গী হিসাবে অরুণ কুমারের নাম থাকা। গত জুলাই মাসে মধ্যপ্রদেশের চিত্রকূটে সংঘের অখিল ভারতীয় প্রান্ত প্রচারক বৈঠকে প্রবীণ প্রচারক কৃষ্ণগোপালের জায়গায় সংঘ ও বিজেপির সমন্বয়ের গুরুদায়িত্বে আনা হয় যুগ্ম সরকার্যবহ অরুণ কুমারকে। এই উত্থানের পিছনে কাজ করেছে সংঘের প্রচার প্রমুখ হিসাবে জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা (Article 370) বিলোপে তাঁর ভূমিকা।
[আরও পড়ুন: গোরক্ষপুর শিশুমৃত্যুর চারবছর পর বরখাস্ত ডা. কাফিল খান, ‘দোষ প্রমাণ হয়নি’ তোপ চিকিৎসকের]
সংঘ ঘনিষ্ঠ মহলের বক্তব্য, এই ঘটনায় সংঘপ্রধান মোহন ভাগবত ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) পছন্দের তালিকায় চলে আসেন অরুণ কুমার। তারই পুরস্কারস্বরূপ দত্তাত্রেয় হোসাবলেকে সরকার্যবহ করার সময় অরুণ কুমারকে যুগ্ম সরকার্যবহ করা হয়। তার কয়েকমাসের মধ্যেই ফের সংঘ ও বিজেপির সমন্বয়ের গুরুদায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে। স্বাভাবিকভাবেই কলকাতা সফরকালীন অরুণ কুমারের সঙ্গে রাজ্য বিজেপি (BJP) নেতৃত্বের বৈঠকের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। সরকারিভাবে কেশব ভবনের পক্ষ থেকে এ রকম কোনও বৈঠক থাকার কথা স্বীকার করা না হলেও রাজ্য বিজেপির একটি সূত্র মোতাবেক, অরুণ কুমারের সঙ্গে নতুন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সংগঠন সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তীদের মতো শীর্ষ নেতাদের বৈঠক হবে এই সফরে।