সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রত্যাশা যা ছিল তাই হল। ঘাটালে হ্যাটট্রিক দেবের (Dev)। গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী হিরণকে হারিয়ে বিপুল ভোটে জয় পেয়েছেন টলিউডের সুপারস্টার। আর তার পরই ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট রুক্মিণী মৈত্রর (Rukmini Maitra)। অ্যানিম্যাটেড ছবি নিজের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে শেয়ার করেছেন রুক্মিণী। যেখানে এক হরিণের উপর বাঘকে ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখা যাচ্ছে। এই এক পোস্টেই যেন হিরণকে চূড়ান্ত খোঁচা দিলেন অভিনেত্রী।
লোকসভা ভোটে এবার শুরু থেকেই নজরে ছিল দেব-হিরণের লড়াই। যে এলাকা টলিউড সুপারস্টার দেবের গড় বলে পরিচিত, সেখানেই বিজেপি নিজেদের প্রার্থী হিসেবে হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের (Hiran Chatterjee) নাম ঘোষণা করে। প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার আগে থেকেই দেবকে বারবার নিজের বাক্যবাণে বিঁধেছেন হিরণ। প্রার্থী হওয়ার পর তাঁর আক্রমণের ঝাঁজ আরও বেড়ে যায়।
[আরও পড়ুন: রাজনীতির ‘নেপোকিড’ কুপোকাত, ‘সেনার মতো মান্ডিকে রক্ষা করব’, জিতেই প্রতিজ্ঞা ‘ক্যুইন’ কঙ্গনার]
তবে রাজনীতির ময়দানে যে তিনি পাক্কা 'গোলন্দাজ', তা বারবার বুঝিয়ে দিচ্ছেন দেব। বিতর্ককে দিব্যি পাশ কাটিয়ে সৌজন্যকে নিজের হাতিয়ার করে নিয়েছিলেন। হাসিমুখে সামলেছিলেন সমস্ত আক্রমণ। রাজনৈতিক মহলের মতে দেবের এই সৌজন্যই হয়েছে তাঁর জয়ের 'কি ফ্যাক্টর'। তাতেই উচ্ছ্বসিত রুক্মিণী। এক ছবিতেই কিস্তিমাত করে দিয়েছেন নায়িকা, এমনই মত অনেকের। যদিও জেতার পরও সৌজন্য বজায় রেখেছেন দেব। তিনি আবার হরিণ-বাঘের সখ্যতার ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, "ঠিক আছে...ঘৃণার থেকে ভালোবাসা বড়।"
নিজের জয় নিয়ে বরাবর আত্মবিশ্বাসী ছিলেন দেব। জয়ের পর তারকার প্রথম প্রতিক্রিয়া, "গত ৩ বছর আমার পিছনে সিবিআই লাগানো হয়েছিল। ব্ল্যাকমেল হতে হয়েছে আমাকে। যাঁরা চোর, তাঁদের ধরুক। আমার ঘাটাল কেন্দ্রের মানুষ সব জবাব দিয়েছে। গোটা দেশ জবাব দিয়েছে। এই ক্রেডিট দিদির, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এই জয়টা আমার দলের কর্মী-সমর্থকদের। দায়িত্ব আরও বাড়ল। ভারতবর্ষজুড়ে যেভাবে রেজাল্ট উলট-পালট হল, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়িত হওয়ার পথ সুপ্রশস্ত হল।"
এরপরই আবার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে বিঁধে দেবের সংযোজন, "আমাকে জেতানোর নেপথ্যে বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়েরও অবদান রয়েছে। উনি যেভাবে প্রচারের ময়দানে নোংরা রাজনীতি করেছেন, কুৎসা রটিয়েছেন, ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের মানুষ সেটা ভালোভাবে নেয়নি। সেইজন্য এখানে তৃণমূলের ভোটের মার্জিনটা এবছর বেড়েছে।"