গোবিন্দ রায়: আদালতের দরজা আটকে আইনজীবীদের এজলাসে ঢুকতে বাধা, বিচারব্যবস্থায় বাধা সৃষ্টির দায়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অবমাননার রুল জারি করল কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের ধারা প্রয়োগ করে রুল ইস্যু করে মামলা পাঠিয়ে দেন প্রধান বিচারপতির এজলাসে। পাশাপাশি, দরজার বাইরে সব সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। যদিও প্রধান বিচারপতির এজলাসে চলা মামলার নতুন করে শুনানি হবে কি না, তাই নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গিয়েছে।
বিচারপতি মান্থার এজলাস বয়কট নিয়ে প্রধান বিচারপতর ডিভিশন বেঞ্চে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা হয়েছে। সেই মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতির এজলাসে তিল ধারণের জায়গা নেই। একদিকে বয়কট বিরোধী ও অন্যদিকে বয়কটপন্থী আইনজীবীদের ভিড়। দরজার বাইরে রীতিমতো ধাক্কাধাক্কি হতেও দেখা যায়। এদিন প্রধান বিচারপতির আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য বিচারপতি মান্থার বাড়ির সামনে ও আদালতে সাঁটানো পোস্টারের অংশ তুলে দেখান। যা ঘটনা ঘটনা হয়েছে তাতে রুল ইস্যু করে জবাব চাওয়া হোক বলে দাবি জানান তিনি।
[আরও পড়ুন: গঙ্গাসাগরে হিন্দিভাষীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা, বুধবার আউট্রাম ঘাটে পুণ্যার্থীদের শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রীর]
বয়কট নিয়ে আসরে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে হাজির হন সপ্তাংশু বসু। তাঁর বক্তব্য, যা ঘটেছে তাতে সাফাই দেওয়ার কোনও কারণ নেই। এখানেই এটা নিষ্পত্তি করা হোক। বার অ্য়াসোসিয়েশন কোনও মিটিং করেনি। যা ঘটেছে সেটা অবাঞ্ছিত। আর না ঘটে সেটা দেখার দরকার। কিন্তু কিছু পদক্ষেপ হলে সেটা আমাদের সহকর্মীদের জন্য খারাপ হবে। এরপরই বিচারপতির প্রশ্ন, “কেন কাল আপনারা এটা আটকাননি?বিরক্ত করছেন কোর্টকে। এটা কিন্তু আমরা রেকর্ড করব, সেটা ভাল হবে না। “
অ্যাসিস্ট্যান্ট সলিসিটর জেনারেল বিল্লদল ভট্টাচার্য বলেন, “তুমুল ভিড় গেটের বাইরে। সেখানে দুজন মহিলা কনস্টেবল রাখা আছে। আদালত চাইলে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে তৈরি কেন্দ্র সরকার। আমাদের কাছে আবেদন জমা পড়েছে।” শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, প্রধান বিচারপতির এজলাসে শুনানি চলছে। এদিকে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসের বাইরে নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে। আগে এজলাসের বাইরে ২ জন নিরাপত্তারক্ষী থাকতেন, এবার তা বাড়িয়ে দেওয়া হল।