সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অর্থনীতিতে মন্দা আসছে। সরকার এই ধ্রুবসত্যটি স্বীকার না করলেও, বিভিন্ন পরিসংখ্যানেই তাঁর প্রমাণ মিলছে। শিল্পক্ষেত্রে একের পর এক বড় সংস্থার কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রবণতা থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বিক্রি কমে যাওয়া। বাজারে চাহিদার অভাবে ধুঁকছে অর্থনীতি। যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে টাকার দরে। ডলারের তুলনায় ভারতীয় টাকার দাম তো কমছেই, বাংলাদেশি মুদ্রাও ভারতের তুলনায় ভাল পারফর্ম করছে এশিয়ার বাজারে। যার ফলস্বরূপ, বাংলাদেশি টাকার তুলনায় ৭১-এর পর সর্বনিম্ন দরে ভারতীয় রুপি।
[আরও পড়ুন: রাজাকারদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু করল হাসিনা সরকার]
বাংলাদেশের প্রথম সারির এক সংবাদপত্রের দাবি, সোমবার ঢাকায় ভারতীয় মুদ্রার সঙ্গে বাংলাদেশি টাকার মূল্যের পার্থক্য ছিল মাত্র ১৪ পয়সা। বাংলাদেশের ১০০ টাকা দিলেই বদলে মিলছে ভারতের ৮৬ রুপি। যা ১৯৭১-এ বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর সর্বনিম্ন। ৭১-এ বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর টাকা এবং রুপির দর প্রায় সমান ছিল। তারপর দিনদিন পড়তে থাকে বাংলাদেশি টাকার দাম। একসময় পার্থক্যটা অনেকটা বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু, গত আগস্ট থেকে ভারতীয় মুদ্রার অবনতি শুরু হয়েছে। পতন এতটাই বেশি যে বাংলাদেশি টাকা আর ভারতীয় মুদ্রার পার্থক্য আর মাত্র ১৪ পয়সা। সোনার দামও রেকর্ড হারে বাড়ছে ভারতের বাজারে। সোমবার মুম্বইয়ের বাজারে সোনার দাম ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে। দেশের অন্যান্য প্রান্তে সোনার দাম ৩৯ হাজার ৯০০ টাকার আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে।
[আরও পড়ুন: সততা নেই! তদন্তকারীদের নজরে বাংলাদেশ হাই কোর্টের ৩ বিচারপতি]
সোমবার দিনের শুরুতেই ডলারে প্রতি টাকার দাম ৪২ পয়সা কমে দাঁড়ায় ৭২.০৮। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই নিম্নমুখী প্রবণতাও বজায় থাকে। শেয়ার বাজারের কারবার শুরুর কিছু ক্ষণের মধ্যেই টাকার দামে আরও পতন ঘটে। ৫৯ পয়সা কমে গিয়ে এক সময় ১ ডলারের দাম হয় ৭২.২৫ টাকা। এদিকে, ভারতের তুলনায় বাংলাদেশের টাকার মূল্য বেড়ে যাওয়ায় পৌষমাস দেখছেন ওপার বাংলার বাসিন্দারা। ঢাকায় ভারতীয় মুদ্রা জমানোর প্রবণতা দেখা গিয়েছে বাংলাদেশের নাগরিকদের মধ্যে। সস্তায় ভারতীয় মুদ্রা জমিয়ে পরবর্তীকালে কাজে লাগাতে চাইছেন তাঁরা।
The post রেকর্ড সোনার দাম, বাংলাদেশি ‘টাকা’কে ছোঁয়ার পথে ভারতীয় ‘রুপি’! appeared first on Sangbad Pratidin.