সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ভয়াবহ প্রভাব পড়তে পারে ভারতের অর্থনীতিতে। ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি বড়সড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। আশঙ্কার কথা শোনালেন খোদ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman)।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ (Russia-Ukraine War) নিয়ে কেন্দ্র সরকারের শীর্ষ মহল কার্যত নীরব। ভারত যে কোনও একটি দিকে ঝুঁকে যেতে চায় না, সেটা প্রধানমন্ত্রী তথা বিদেশমন্ত্রীর নীরবতাতেই স্পষ্ট। বস্তুত, মন্ত্রিসভার কোনও সদস্যই এই যুদ্ধ নিয়ে মুখ খোলেননি। নির্মলাই প্রথম মন্ত্রী যিনি যুদ্ধ নিয়ে মুখ খুললেন। যদিও ভারতের কৌশলগত অবস্থান নিয়ে কিছু বলেননি অর্থমন্ত্রী। তিনি শুধু নিজের আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেছেন।
[আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচের আগে ফের ধাক্কা ভারতীয় শিবিরে, ছিটকে গেলেন এই ওপেনার]
অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য,”ভারতের আর্থিক উন্নতি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে চলেছে। ভারত তথা গোটা বিশ্বের অর্থনীতিরই অতিমারীর (Coronavirus) ধাক্কা সামলাতে প্রয়োজন ছিল শান্তির। কিন্তু সেই বিশ্বশান্তি এখন বিঘ্নিত। এই যুদ্ধের প্রভাব সুদূরপ্রসারী। যার ফলে ভারতের অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া ভালমতো ধাক্কা খাবে।” নির্মলার আশা, দ্রুত বিশ্বে শান্তি ফেরার প্রক্রিয়া শুরু হবে। যাতে অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু করা যায়। অর্থমন্ত্রী বলছেন, মানবজাতির কল্যাণ এখন অর্থনীতির পুনরুদ্ধারেই নিহিত। সেটা বাধা না পাওয়াটাই মঙ্গল।
[আরও পড়ুন: কেন বাংলার প্রতি ঋদ্ধির দায়বদ্ধতা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন? CAB-র অভিযোগের পালটায় সরব দিন্দারা]
আসলে, নির্মলার আশঙ্কা অমূলক নয়। এই যুদ্ধের ফলে প্রথম যে সম্ভাবনাটি তৈরি হয়েছে, সেটি হল অশোধিত তেলের দাম (Crude Oil Price) আকাশের উচ্চতায় পৌঁছে যাওয়া। ইতিমধ্যেই অশোধিত তেলের দাম পেরিয়ে গিয়েছে ১০৫ ডলার প্রতি ব্যারেল। বাজেটের আগের অর্থনৈতিক সমীক্ষায় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ সারাবছর অশোধিত তেলের দাম ৭০-৭৫ ডলার থাকবে বলে ধরে নিয়েছিলেন। এবার বছরভর তেলের দাম যদি গড়ে ৯০ ডলারও থাকে, তাতেও হিসাবে বড়সড় গড়বড় হতে চলেছ। এবার দেশের বাজারে তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বড়সড় ভরতুকি দিতে হবে সরকারকে। মুদ্রাস্ফীতি এবং মূল্যবৃদ্ধি যে হার অর্থনৈতিক সমীক্ষায় ধরা হয়েছিল সেটাও অনেকটাই লঙ্ঘিত হবে। শেষ দিকে হালে পানি পাওয়াটা বেশ মুশকিল হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সেটাই নির্মলার আশঙ্কার মূল কারণ।