সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia-Ukraine War) সপ্তম দিনে আরও এক দুঃসংবাদ। প্রাণ হারালেন আরও এক ভারতীয়। সূত্রের খবর, তিনি পাঞ্জাবের (Punjab) পড়ুয়া। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে তিনি এতটাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। জানা গিয়েছে, ভিনিৎসিয়ার এক হাসপাতালে তিনি অসুস্থ হয়ে ভরতি ছিলেন। বুধবার সকালে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। মৃতের নাম চন্দন জিন্দল। বয়স ২২ বছর। তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে স্বভাবতই শোকাহত পরিবার। চন্দন জিন্দলের বাবা প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে দ্রুত তাঁর দেহ ফেরানোর আবেদন জানিয়েছেন।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ২২ বছরের চন্দন জিন্দল আদতে পাঞ্জাবের বারনালের বাসিন্দা। ভিনিৎসিয়ায় মেডিক্যাল পড়াশোনার জন্য গিয়েছিল ইউক্রেনে। যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই আতঙ্কে ভুগছিলেন চন্দন। দিন দুই আগে আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ভিনিৎসিয়ার এমার্জেন্সি হাসপাতালে ভরতি হন। সেখানেই বুধবার সকালে মৃত্যু হয় চন্দন জিন্দলের। এ নিয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে গত ২ দিনে দুই ভারতীয় ছাত্রের মৃত্যু হল। মঙ্গলবার নবীন শেখরাপ্পা নামে বছর বাইশের এক মেডিক্যাল পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছিল। তিনি উত্তর কর্ণাটকের বাসিন্দা। আর বুধবার পাঞ্জাবের চন্দন জিন্দল হারালেন প্রাণ।
[আরও পড়ুন: যুদ্ধের আবহে ইউক্রেনীয়দের ‘ইরানি’ বলে সম্বোধন বাইডেনের, কিন্তু কেন?]
এই মুহূর্ত ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয়দের দেশে ফেরাতে কেন্দ্রের তরফে জোরকদমে চলছে ‘অপারেশন গঙ্গা’। যুদ্ধের জেরে ইউক্রেনের আকাশপথ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর প্রতিবেশী দেশগুলিতে দফায় দফায় বিমান পাঠিয়ে চলছে উদ্ধারকাজ। অনেকেই ইতিমধ্যে ইউক্রেন ছেড়েছেন। সড়কপথে রোমানিয়া, পোল্যান্ডে এসে অপেক্ষা করছেন ভারতে ফেরার জন্য়। প্রতিদিনই ভারতের তরফে বিশেষ বিমান পাঠানো হচ্ছে সেখানে। বিশেষত নজর দেওয়া হচ্ছে পড়ুয়াদের ফেরানো। তবে তারই মধ্যে যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে আটকে রাশিয়ার হামলায় প্রাণ হারাচ্ছেন ভারতীয় পড়ুয়ারা। যার জন্য পড়ুয়াদের বিক্ষোভ বাড়ছে। পরিস্থিতি গুরুতর হতে থাকায় এবার ভারতীয়দের খারকভ ছাড়ার নির্দেশ দিল ভারতীয় দূতাবাস।
[আরও পড়ুন: আমেরিকার প্ররোচনাতেই সব গন্ডগোল! পুতিনের পাশেই দাঁড়াচ্ছে মস্কোবাসী]
এদিকে, যুদ্ধের সপ্তম দিনেও তপ্ত ইউক্রেন। রাশিয়ার চাপও বাড়ছে। সরকার বদলের প্রস্তাব দিচ্ছে রাশিয়া। জেলেনস্কিকে সরিয়ে পূর্বতন প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচকে প্রেসিডেন্টের পদে আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তিনি এই মুহূর্তে বেলারুশে গা ঢাকা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।