সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তান্ত্রিক ক্রিয়াকর্মের জন্য বৌদ্ধমঠে মদ নিয়ে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন এক ভিনদেশী পর্যটক। আর তার জেরেই বিহারের (Bihar) জেলে ঠাঁই হল এক রুশ নাগরিকের। তাঁর কাছ থেকে মোটে ১০ মিলিলিটার ভদকা (Vodka) উদ্ধার হয়েছে।
গত সাত বছর ধরে বিহারে মদ নিষিদ্ধ। অথচ সেই রাজ্যেই বিদেশি মদ নিয়ে হাজির হয়েছিলেন এক রুশ পর্যটক। উদ্দেশ্য় ছিল, বোধগয়া বৌদ্ধমঠে তান্ত্রিক ক্রিয়া সম্পন্ন করা। বিদেশি মদ দিয়ে চরণামৃত তৈরি করা। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার মহা বোধি মন্দিরের বাইরে দর্শনার্থীদের চেক করা হয়। সেই রুটিন চেকিং চলার সময় রুশ পর্যটকের কাছ থেকে ১০ মিলিলিটার ভদকার বোতল উদ্ধার হয়। আর তার জেরেই ভিন দেশের পর্যটকের ঠাঁই আপাতত জেল-হাজত।
[আরও পড়ুন: মোদিকে বদনাম করার চেষ্টা! BBC ডকু সিরিজ নিয়ে সব টুইট ব্লক করার নির্দেশ কেন্দ্রের]
বোধগয়ার ডেপুটি সুপার অজয় কুমার জানান, মন্দির চত্বরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে। দর্শনার্থীদের প্রবেশের আগে তাঁদের চেকিং করা হয়। সেই সময় ওই রুশ পর্যটকের কাছে মদের বোতল মেলে। তিনি মন্দিরের ভিতরে তান্ত্রিক ক্রিয়ার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। রুশ পর্যটককে গ্রেপ্তার করে আদালতে তোলা হয়। আপাতত বোধগয়া সেন্ট্রাল জেলে রয়েছেন তিনি।
২০১৬ সালে মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন বিহারে মদ বিক্রি নিষিদ্ধ করে দেন নীতীশ। রাজ্যকে নেশামুক্ত করে তোলাই নাকি ছিল উদ্দেশ্য। অভিযোগ, সরকারি নিষেধাজ্ঞার ফলে মদের একটি বিরাট ‘কালোবাজার’ তৈরি হয়েছে রাজ্যটিতে। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্ত সতর্কতা জলাঞ্জলি দিয়ে বিপুল মাত্রায় তৈরি হচ্ছে চোলাই মদ, স্থানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ‘দেশি’। আর চোলাই খেয়ে একাধিকবার বহু মানুষের। এর মাঝেই মোটেই ১০ মিলিলিটার ভদকার জন্য় জেলে ঠাঁই হল বিদেশি পর্যটকের।