সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক মাসের বেশি সময় ধরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia-Ukraine War) ভয়াবহতার সাক্ষী গোটা বিশ্ব। রুশ সেনার (Russian Army) নির্মম সামরিক অভিযানে বলি হয়েছেন ইউক্রেনের অসংখ্য মানুষ। এর মধ্যেই যুদ্ধের আরও এক নির্মমতার ঘটনা সামনে এল। সম্প্রতি এক ইউক্রেনীয় মহিলা অভিযোগ করেছেন, রুশ সেনা বাড়িতে ঢুকে তাঁর স্বামীকে খুন করে। এরপর সন্তানের সামনেই তাঁকে ধর্ষণ (Rape) করে। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমেছে ইউক্রেন প্রশাসন (Ukraine Administration)।
ঘটনাটি গত ৯ মার্চের বলে জানা গিয়েছে। মহিলা ও তাঁর স্বামী বাড়িতেই ছিলেন সেই সময়। মহিলা বলেন, “হঠাৎই আমি একটা গুলির শব্দ পাই। এরপর গেট খোলার শব্দ শুনি। তারপর বাড়ির ভিতরে পায়ের শব্দ পাই।” ইউক্রেনীয় মহিলার দাবি, আসলে জোর করে বাড়িতে ঢোকার সময় তাঁর পোষ্য কুকুরটিকে খুন করেছিল পুতিনের সেনা। এরপর তাঁর স্বামীকে হত্যা করে তারা। মহিলা বলেন, “আমি কাঁদতে কাঁদতে ওদের বলি আমার স্বামী কোথায়? তারপরে বাইরের দিকে তাকিয়ে দেখি দরজার সামনে স্বামীর নিথর দেহ পড়ে রয়েছে। এরমধ্যে এক রুশ সেনা আমার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে বলে তোমার স্বামী নাৎসি ছিল তাই তাকে হত্যা করা হয়েছে।”
[আরও পড়ুন: ‘শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান জরুরি’, ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষিতে BIMSTEC সম্মেলনে মন্তব্য মোদির]
মহিলার অভিযোগ এরপরেই তাঁকে ধর্ষণ করে দুই রুশ সেনা। চিৎকার করলে তাঁকেও স্বামীর মতো হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয় তারা। বলে, “চুপচাপ আমাদের কথা শোনো, না হলে সন্তান দেখবে ঘরময় মায়ের ঘিলু ছড়িয়ে আছে। সেটা কি খুব ভাল হবে?” মহিলাকে যখন ধর্ষণ করা হচ্ছিল সেই সময় পাশের ঘরেই চিৎকার করে কাঁদছিল তাঁর সন্তান। যদিও তাতে ভ্রুক্ষেপ করেনি রুশ সেনা।
[আরও পড়ুন: ফের সন্ত্রাসের কবলে পাকিস্তান! আধা সেনা শিবিরে ভয়াবহ হামলায় বহু মৃত্যুর আশঙ্কা]
ধর্ষিত হওয়ার পরেই বাড়ি ছেড়ে পালান ওই মহিলা। স্বামীর দেহ পড়ে থাকে অভিশপ্ত বাড়িতেই। তিনি জানিয়েছেন, স্বামীর শেষকৃত্যটুকুও করতে পারেননি। যেহেতু এখনও তাঁদের গ্রাম রুশ বাহিনীর দখলে রয়েছে।