সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত-চিন সীমান্তে সেনা সরানোর ক্ষেত্রে ৭৫ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে বলে জানালেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। এই বিষয়টিকে ইতিবাচক বলেই মনে করছেন তিনি। উল্লেখ্য, গালওয়ানের ভারত-চিন সীমান্তে দুই দেশের সেনার সংঘর্ষের পর থেকেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে। সেনা মোতায়েন করে রেখেছে দুই দেশই। তবে আপাতত সেনা সরানো নিয়ে ইতিবাচক ঘটনা ঘটছে বলেই জানান জয়শংকর।
জেনেভায় একটি বৈঠকে অংশ নিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। সেখানেই নিরাপত্তা নীতি বিষয়ক একটি আলোচনাসভায় ভারত-চিন সীমান্ত নিয়ে কথা বলেন তিনি। যেকোনও সীমান্তে সেনা মোতায়েনের মাত্রা যদি বেড়ে যায়, সেটা যথেষ্ট দুশ্চিন্তার বিষয় বলেই জয়শংকরের মত। গালওয়ান সংঘাতের কথা মনে করিয়ে দিয়ে চিনকে অবশ্য খোঁচা দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, " যারা সীমান্তে হিংসা ছড়িয়েছে, তারা বলতে পারে না যে ওই হিংসার কারণে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে অবনতি হয়েছে।"
[আরও পড়ুন: কীভাবে থামবে যুদ্ধ? মোদির নকশা নিয়ে রুশ নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক ডোভালের!]
তবে ২০২০ সালের সেই উত্তপ্ত পরিস্থিতি এখন বেশ খানিকটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেই জানান জয়শংকর। তিনি বলেন, "এখনও আলোচনা চলছে। খানিকটা এগিয়েছি আমরা। ধরে নেওয়া যায় সেনা সরানোর ক্ষেত্রে ৭৫ শতাংশ সমস্যা মিটেছে। তবে এখনও কিছু কাজ বাকি।" উল্লেখ্য, সুইজারল্যান্ডে এই সফরের মধ্যেই চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন জয়শংকর। তার আগে বিদেশমন্ত্রীর আশা, শান্তি ফেরানোর জন্য সেনা সরানোর ক্ষেত্রে পাকাপাকি সমাধান মিলবে।
সমস্যা সমাধানের বার্তা দিয়েও জয়শংকর মনে করিয়ে দেন, গালওয়ান সংঘাতের পর থেকেই ভারত-চিন সম্পর্ক খুব খারাপ হয়েছে। দুদেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক প্রায় বন্ধ। পর্যটকদের যাতায়াতও বন্ধ। স্থগিত রয়েছে উড়ান পরিষেবাও। সূত্রের খবর, বিমান পরিষেবা শুরু করতে ভারতের কাছে একাধিকবার দাবি জানিয়েছে চিন। কিন্তু সেনা সরানোর প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হল বিমান চলাচল শুর করতে চায় না নয়াদিল্লি।