সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় ১০ মাস ধরে টানটান উত্তেজনার পর সদ্য প্যাংগং হ্রদ থেকে সেনা সরিয়েছে ভারত (India) ও চিন (China)। তারপরই সীমান্তে শান্তি ফেরাতে দশম দফার বৈঠকে বসেন দুই দেশের সেনাকর্তারা। এবার চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই’র সঙ্গে ফোনে আলোচনা সারলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর।
[আরও পড়ুন: শান্তি ফেরাতে উদ্যোগী ভারত-পাকিস্তান, নিয়ন্ত্রণরেখায় গোলাবর্ষণ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত দুই দেশের]
ভারতীয় বিদেশমন্ত্রককে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে চিনা বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে প্রায় সোয়া একঘন্টা কথা বলেন জয়শংকর। পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার পরিস্থিতি ও ভারত-চিন সার্বিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয় তাঁদের মধ্যে। বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, অত্যন্ত চাঁচাছোলা ভাষায় সীমান্ত সংঘাত নিয়ে চিনকে বার্তা দিয়েছেন জয়শংকর। তিনি সাফ জানিয়েছেন, গতবছরের ঘটনাবলী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে অত্যন্ত নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। সীমান্ত সংক্রান্ত সমস্ত সমস্যার সমাধান সময়সাপেক্ষ। তবে এনিয়ে সীমান্তে সংঘাত হলে দুই দেশের সম্পর্কে অবশ্যই খারাপ প্রভাব পড়বে। ওয়াং ই-কে স্পষ্ট ভাষায় বার্তা দিয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রী আরও জানান, প্যাংগং হ্রদে সেনা প্রত্যাহার শেষ হয়েছে। তাই এবার পূর্ব লাদাখে সংঘর্ষের সমস্ত কেন্দ্রবিন্দু নিয়ে দ্রুত সমস্যা মিটিয়ে ফেলা উচিত। একবার গোটা অঞ্চলে সেনা প্রত্যাহার শেষ হলে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার বৃহত্তম অংশে শান্তি ফেরাতে উদ্যোগী হওয়া উচিত।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে প্যাংগং থেকে পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA) তাদের বিপুল সংখ্যক সেনা, শয়ে শয়ে ট্যাঙ্ক ও সাঁজোয়া গাড়ি, হাউৎজার সরিয়ে নিয়েছে। প্যাংগং হ্রদ লাগোয়া আট নম্বর ফিঙ্গার পয়েন্টের কাছে সরানো হয়েছে চিনের সব ট্যাঙ্ক, হাউৎজার কামান। তবে পরিস্থিতির উপর প্রতি মুহূর্তে কড়া নজর রাখছে ভারতীয় সেনার উপরমহল। সেই মতো পদক্ষেপ ও কৌশল বদলাচ্ছেন তাঁরাও। আর প্যাংগংয়ের পরই অন্যান্য বিতর্কিত এলাকা নিয়ে আলোচনায় বসে দুই দেশ। এই জায়গাগুলো থেকেও চিন সেনা প্রত্যাহার শুরু করে কি না সেটাই এখন দেখার।