দক্ষিণ আফ্রিকা: ৩৩৫ ও ২৫৮
ভারত: ৩০৭ ও ৩৫/৩
চতুর্থ দিনের শেষে দক্ষিণ আফ্রিকা এগিয়ে ২৫২ রানে
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিরিজে সমতা ফেরাতে গেলে প্রয়োজন ছিল ২৮৬ রান। টার্গেট অসম্ভব একেবারেই নয়। তার উপর যেখানে ভারতীয় দল প্রথম ইনিংসে তিনশোর গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছিল, সেখানে দাঁড়িয়ে দেড় দিনে এই লক্ষ্যপূরণ আহামরি বিষয় নয়। কিন্তু বাদ সাধল ব্যাটিং অর্ডারে ধস। দুই ওপেনার মুরলী বিজয় ও লোকেশ রাহুলের ফের ব্যর্থ। তাতেও স্বপ্ন দেখার আশা ছাড়েননি ভারতীয় সমর্থকরা। টিম ইন্ডিয়ার শিবিরের শিড়দাঁড়াও নুইনে পড়েনি তখনও। কারণ ব্রহ্মাস্ত্র মতোই তখনও হাতে ছিল বিরাট কোহলির উইকেটটি। কিন্তু গণ্ডগোল বাধল অধিনায়কের উইকেট পড়তেই। ফের চিন্তার ভাঁজ স্পষ্ট হল রবি শাস্ত্রীর কপালে।
[নিয়মভঙ্গে আইসিসি-র কোপে বিরাট, কাটা গেল ম্যাচ ফি]
বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, প্রোটিয়াদের দুশো রানের মধ্যে আটকে ফেলতে পারলে অ্যাডভানটেজ পেত ভারত। কিন্তু ৫০ রানও অনেক বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। আর বিরাটদের উপর সেই চাপই বজায় থাকল এবি ডিভিলিয়ার্স (৮০) ও ফ্যাফ ডু প্লেসির (৪৮) চওড়া ব্যাটে। দুই ভারতীয় পেসারের দাপুটে বোলিংয়ে যদিও খুব বেশি এগোতে পারেনি প্রোটিয়া টেল-এন্ডাররা। শামি-বুমরাহ জুটি বিপক্ষ শিবিরে ভাঙন ধরিয়ে রানকে আয়ত্তের মধ্যেই রাখলেন। কিন্তু সমস্যা হল বিরাটের উইকেটটি পড়তেই। যাঁর প্রথম ইনিংস ছিল স্বপ্নের মতো। সেঞ্চুরিয়নের বাইশ গজে ফিরেছিল সেই ক্লাস, সেই স্কিল। নেতা হিসেবে আটবার ব্যক্তিগত ১৫০ রানের গণ্ডি পেরিয়ে বিরাট ছুঁয়ে ফেলেছিলেন স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের রেকর্ডও। সেই বিরাট এদিন ফিরলেন মাত্র পাঁচ রানে। এনগিরির বলে এবিডব্লিউ হতেই বড়সড় ধাক্কা খেল ভারতীয় ব্যাটিং লাইন-আপ। তবে আশা এখনও থাকতেই পারে। নিউল্যান্ডসে হার্দিক পাণ্ডিয়ার ইনিংসের কথা মনে আছে? সেভাবেই ক্রিজে জাঁকিয়ে বসতে হবে কোনও এক
ব্যাটসম্যানকে। রাহুল দ্রাবিড়ের মতো মিস্টার ডিপেন্ডবল হয়ে উঠতে পারলেই বাজিমাত। চেতেশ্বর পূজারা, রোহিত শর্মা, পাণ্ডিয়ারাই এখন ভরসা শাস্ত্রীর। তবে শেষ দিনে ২৫২ রান করা মানে অসম্ভবকে সম্ভব করার মতোই।
[চোটের কারণে দেশে ফিরছেন ঋদ্ধি, দলে ঢুকছেন কার্তিক]
দল বাছাই নিয়ে প্রাক্তনদের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে ক্যাপ্টেন কোহলিকে। ভুবিকে বসিয়ে রাখার খেসারত দিতে হতে পারে ভারতকে, এমন কথাও উঠেছে বারবার। তবে প্রথম ইনিংসে দুর্দান্ত পারফর্ম করে সেই বিতর্কের আগুন অনেকটাই নেভাতে পেরেছেন তিনি। এবার পালা সতীর্থদের। নেতার মান রাখতে পঞ্চম দিনে রাবাদা-মর্কেলদের সামনে নিজেদের টিকিয়ে রাখার অগ্নিপরীক্ষায় তাঁরা উত্তীর্ণ হন কিনা, সেটাই বড় প্রশ্ন। আর নাহলে সেঞ্চুরিয়নেই শচীন তেণ্ডুলকরদের হারের বদলা নেওয়ার স্বপ্নভঙ্গ হবে। ঘরের মাটিতে ভারতকে হারানোর ২৫ বছরের ট্র্যাডিশন বজায় রাখবে দক্ষিণ আফ্রিকাই।
The post সিরিজে সমতা ফেরানোর ক্ষীণ আশা জিইয়ে রাখলেন পূজারারা appeared first on Sangbad Pratidin.