অর্ণব আইচ: নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের টাকায় নয়। নিজে ঋণ নিয়ে দু’টি ফ্ল্যাট কিনেছিলেন। শুক্রবারের ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদে যুব তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষ এমনই দাবি করেছেন বলেই ইডি সূত্রের খবর। তবে ওই ব্যাংক লোন সংক্রান্ত কোনও নথি সায়নী জমা দেননি বলেই জানা গিয়েছে। আগামী ৫ জুলাই সেই সংক্রান্ত নথিপত্র নিয়ে আসতে বলা হয়েছে তাঁকে।
ইডি সূত্রে খবর, সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh) জানিয়েছেন তিনি ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে ফ্ল্যাট কিনেছিলেন। তাঁর দুটি ফ্ল্যাটের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। দু’টিই গলফগ্রিন এলাকায়। একটির দাম ৮০ লক্ষ টাকা। সেটি তাঁর নিজের নামে। অন্যটি তাঁর মায়ের নামে। দাম ৩৫ লক্ষ টাকা। এছাড়া একটি পৈতৃক বাড়ি রয়েছে। ৮০ লক্ষ টাকা দামের ফ্ল্যাটটির জন্য ৬০ লক্ষ টাকা একটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংক থেকে ঋণ নেন সায়নী। বাকি ২০ লক্ষ টাকা ব্যাংকে নগদে দেন সায়নী। তাঁর ও মায়ের সঞ্চিত অর্থ থেকে ওই নগদ টাকা জমা দিয়েছেন বলেই সায়নী দাবি করেন।
[আরও পড়ুন: পার্থর আংটি কাণ্ডে প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারের বিরুদ্ধে হেস্টিংস থানায় অভিযোগ]
কিন্তু ইডি প্রশ্ন করে, সেই ২০ লক্ষ টাকা কী কুন্তল (Kuntal Ghosh) তাঁকে দিয়েছিলেন? এই অভিযোগ অস্বীকার করেন সায়নী। দু’টি ফ্ল্যাট ২০২০ ও ২০২১ সালে কেনা। ইডি’র প্রশ্ন, এই ২০ লক্ষ টাকা তাহলে এল কোথা থেকে? কুন্তলের সঙ্গে সায়নীর কোনও ব্যাংক লেনদেনের তথ্য নিয়ে সন্ধিহান ইডি। সেক্ষেত্রে কুন্তল সায়নীকে ওই ২০ লক্ষ টাকা নগদে দিয়েছিলেন কিনা, সেই তথ্যই ইডি জানার চেষ্টা করছে। আবার ওই ঋণের ইএমআই প্রত্যেক মাসে কীভাবে মেটানো হচ্ছে সে ব্যাপারে নথি পরীক্ষা করতে চান আধিকারিকরা।
যদিও ইডি’র দাবি, এই ঋণের সাপেক্ষে কোনও তথ্য সায়নী শুক্রবার জমা দেননি। আগামী বুধবার তাঁকে দ্বিতীয়বার তলব করা হয়েছে। ঋণ-সহ যাবতীয় নথি তলব করা হয়েছে। ওই নথি নিয়ে তিনি সশরীরে হাজিরা দিতে পারেন। অথবা অন্য কারও মাধ্যমেও তথ্য ইডি আধিকারিকদের কাছে পাঠাতে পারেন। এখনও পর্যন্ত সায়নীর একটি গাড়ির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। ওই গাড়ি করেই তিনি সলটেকে সিজিও কমপ্লেক্সের ইডি’র দপ্তরের আসেন বলেও খবর। অভিযোগ, সায়নীকে ওই গাড়িটি কুন্তল দিয়েছেন। এ ব্যাপারে ইডি’র প্রশ্নে সায়নী জানান, সেটি তাঁর নিজের কেনা। ওই গাড়িটি কেনার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নথিও তলব করেছে ইডি।