সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সবরীমালা ইস্যু এখন কেরলের সিপিএম সরকারের কাছে শাঁখের করাতের মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুপ্রিম নির্দেশ অমান্য করার উপায় নেই, আবার রায় কার্যকর করতে গেলেও পড়তে হচ্ছে নজিরবিহীন বিরোধিতার মুখে। এসব পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য বৃহস্পতিবার সর্বদল বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। কিন্তু তাতেও কোনও সমাধানসূত্র মিলল না। বিরোধীরা মাঝপথেই বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যায়।
[সবরীমালা ইস্যুতে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন গ্রহণ সুপ্রিম কোর্টের]
আগামী ১৭ নভেম্বর থেকে একমাস ব্যাপী বিশেষ পুজো শুরু হচ্ছে আয়াপ্পার মন্দিরে। এই অনুষ্ঠান চলাকালীন মন্দিরে প্রবেশের জন্য ইতিমধ্যেই কেরল পুলিশের ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করিয়েছেন পাঁচশোর বেশি মহিলা। এদের মধ্যে সবচেয়ে হাই-প্রোফাইল নাম আন্দোলনের নেত্রী, তথা নারীকর্মী তৃপ্তি দেশাই। কিন্তু এই মহিলারা কি আদৌ মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন? সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েকজন মহিলা আয়াপ্পার মন্দিরে প্রবেশের চেষ্টা করছেন, কিন্তু তাতে কেউ সফল হননি। সমস্যা মেটাতে বৃহস্পতিবার সর্বদল বৈঠক ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। বৈঠকে হাজির ছিল রাজ্যের প্রধান দুই বিরোধী দল কংগ্রেস এবং বিজেপি। কিন্তু ঘণ্টা দুই আলোচনার পর কোনও সমাধানসূত্র না বেরনোয় সভাকক্ষ ত্যাগ করে কংগ্রেস-বিজেপি দুই দলই।
[চরম অর্থাভাবে অথৈজলে রাম মন্দির নির্মাণের কাজ]
কংগ্রেস নেতা রমেশ চেঁতিলাল বেরিয়ে এসে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর মানসিকতার জন্যই সমস্যার সমাধান হচ্ছে না, এরপর মন্দির ঘিরে অশান্তি হলে তাঁরা দায় সরকারের।” বিজেপি প্রদেশ সভাপতি শ্রীধরণ পিল্লাই বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী সবরীমালাকে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করার চেষ্টা করছেন। এভাবে সমস্যার সমাধান হয় না।” এদিকে উপয়সংকটে পড়ে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলছেন, “আমরা ভক্তদের আবেগের জায়গাটা বুঝি। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রায় শিরোধার্য্য, সংবিধান সবার উপরে। আমরা সুপ্রিম কোর্টের রায় পালন করতে বাধ্য। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা রাজ্যের দায়িত্ব, তাই যে মহিলা মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি চাইছেন তাদের আমরাই নিরাপত্তা দেব।” প্রয়োজনে মহিলাদের মন্দিরে প্রবেশের জন্য বিশেষ দিন ঠিক করে দেওয়া হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন।
The post সর্বদল বৈঠকে মিলল না সমাধানসূত্র, সবরীমালা ইস্যুতে দোটানায় কেরল সরকার appeared first on Sangbad Pratidin.