সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শহর কলকাতাকে ভালবাসেন প্রসেনজিৎ। সেটাই তিনি বলেছিলেন ফেসবুকে। ২৪ আগস্ট একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন তিনি। কিন্তু ভালবাসার খেসারত যে এভাবে দিতে হবে, তা কি তিনি ভেবেছিলেন? কলকাতাকে নিয়ে ওই ভিডিও পোস্ট করার জন্য আইনি নোটিস পাঠানো হল অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে। সাবর্ণ রায় চৌধুরীর পরিবার সম্প্রতি অভিনেতাকে এই নোটিস পাঠিয়েছেন।
যদিও অভিনেতা জানিয়েছেন, তিনি এখনও কোনও আইনি নোটিস পাননি। এমনকী পোস্টটিও তিনি করেননি বলে একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, তাঁর দলের কেউ ওই পোস্টটি করেছেন। তবে এর দায়িত্ব নিজের ঘাড়েই নিয়েছেন অভিনেতা। ধরে নেওয়া হয়, ২৪ আগস্ট জোব চার্নক কলকাতার পত্তন করেছিলেন। তাই সেই দিন অনেকেই কলকাতাকে নিয়ে পোস্ট করেন। তাঁর পোস্টটিও সেগুলির মধ্যেই পড়ে। তিনি জেনেশুনে কাউকে আঘাত করতে চাননি। কিন্তু সাবর্ণ রায় চৌধুরীর পরিবারের বক্তব্য, ২০০৩ সালে কলকাতা হাই কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। কলকাতার পত্তন নিয়ে এখনও স্পষ্ট কোনও সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। তারপরও প্রসেনজিতের মতো অভিনেতা কীভাবে এমন পোস্ট করতে পারেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।
[ আরও পড়ুন: ক্রিকেট দলের ভাগ্য কার হাতে? রহস্য বাড়াল ‘দ্য জোয়া ফ্যাক্টর’-এর ট্রেলার ]
ঘটনার সূত্রপাত ২৪ আগস্ট। ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করে প্রসেনজিৎ লিখেছিলেন, “এই শহর আমার জীবনের প্রত্যেকটা অধ্যায়ের সাক্ষী। শুভ জন্মদিন কলকাতা।” এটি দেখার পরই প্রসেনজিতের টিমের সঙ্গে যোগাযোগ করেন সাবর্ণ রায় চৌধুরী পরিবার পরিষদের সেক্রেটারি এ মুখপাত্র দেবর্ষি রায় চৌধুরী। তথ্য চেয়ে পাঠান। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই ভিডিওটি পেজ থেকে নামিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু প্রসেনজিতের পেজের ফলোয়ার্স ৩ লক্ষেরও বেশি। ফলে ভিডিও ছড়িয়ে পড়তে দেরি হয়নি।
২০০৩ সালের আগে ২৪ আগস্ট দিনটিকেই কলকাতার জন্মদিন হিসেবে ধরা হত। মনে করা হত ১৬৯০ সালের ২৪ আগস্ট কলকাতায় পা রাখেন জোব চার্নক। কিন্তু প্রশ্ন ওঠে এখানেই। জোব চার্নক আসার অনেক আগে থেকেই সুতানুটি, গোবিন্দপুর ও কলকাতা এই তিনটি গ্রামের অস্তিত্ব ছিল। তা হলে কী করে একটি নির্দিষ্ট দিনকে কলকাতার জন্মদিবস হিসেবে ধরা যেতে পারে?
[ আরও পড়ুন: রানাঘাটের রানুকে কি সত্যিই বাড়ি উপহার দিলেন সলমন? ফাঁস চাঞ্চল্যকর তথ্য ]
The post কলকাতার ‘জন্মদিন’ নিয়ে বিতর্কিত ভিডিও, আইনি নোটিস প্রসেনজিৎকে appeared first on Sangbad Pratidin.