শতবর্ষপ্রাচীন কংগ্রেসের পরিস্থিতি দেখে দুঃখ হয়। কংগ্রেসের এই অবস্থা গণতন্ত্রের পক্ষে শুভ নয়। যদি বিরোধী নেতৃত্ব দুর্বল হয়, তাহলে কেন্দ্রের রাজনৈতিক কর্তৃত্বের যে স্বৈরাচারী মনোভাব, তা বাড়ার সম্ভাবনা ততোধিক। রাহুল গান্ধীর যতদিন না বিরোধীদের নিয়ে চলার মনোভাব তৈরি হবে, ততদিন নিরঙ্কুশ মোদি-বিরোধী জোটও তৈরি হবে না। লিখছেন জয়ন্ত ঘোষাল।
গোয়ায় কি শেষ মুহূর্তে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সঙ্গে কংগ্রেসের (Congress) আসন সমঝোতা হচ্ছে? ফোনে এই প্রশ্নটি করলেন অনুজপ্রতিম এক সাংবাদিক। কারণ একটাই। মহারাষ্ট্রের প্রবীণ নেতা শরদ পাওয়ার (Sharad Pawar) এই বোঝাপড়ার পক্ষে কথা বলেছেন। তিনি নিজে এ-ব্যাপারে উদ্যোগ নিচ্ছেন, এমনই খবর। আমি সেই সাংবাদিককে বললাম, তা-ই তো হওয়া উচিত। কিন্তু কেন হচ্ছে না, তার কারণ বিশ্লেষণ করার দায়ও আমাদের আছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) কখনওই বলেননি, তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও সমঝোতা করবেন না। বরং নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) এবং অমিত শাহ-র (Amit Shah) নেতৃত্বাধীন বিজেপির (BJP) মতো একটা ‘লেভিয়াথান’-এর মোকাবিলা করতে সমস্ত বিরোধী দলকে যে একজোট হতে হবে, তাতে নিঃসন্দিহান তৃণমূল নেত্রী। কিন্তু এই বোঝাপড়া বা ঐক্য কেন হচ্ছে না? তার জন্য শুধুমাত্র তৃণমূলকে দোষ দিলে হবে না। যেমনটা শরদ পাওয়ার বলেছিলেন, ‘কংগ্রেসকে তার সাবেকি জমিদারি মনোভাব পরিত্যাগ করে এগিয়ে আসতে হবে। যদি মোদি-বিরোধী সবচেয়ে বড় দল হিসাবে কংগ্রেসকে আবার নবকলেবরে মাথাচাড়া দিতে হয়, তাহলে সমস্ত বিজেপি-বিরোধী দলকে একত্র করার দায়িত্বও নিতে হবে।’
এখন বেশ কিছু আঞ্চলিক দল রাজ্যে রাজ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস তো বটেই, পাশাপাশি কেজরিওয়ালের আপ অথবা তামিলনাড়ুতে স্ট্যালিনের ডিএমকে– এসব দলকে বাদ দিয়ে তো মোদি-বিরোধী জোট হতে পারে না। পশ্চিমবঙ্গের কঠিন নির্বাচনে জয়লাভের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে একজন বিশ্বাসযোগ্য বিরোধী নেতৃত্বের মুখ হয়ে উঠেছেন, সন্দেহ নেই। তাহলে কেন গোয়া নির্বাচনের আগেও দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেতা পি. চিদাম্বরম বললেন, অন্য কোনও রাজনৈতিক দলকে তাদের দরকার নেই, কংগ্রেস একা-ই গোয়াতে ক্ষমতায় আসতে পারবে? প্রশ্ন হল, ভোটের মুখে এই ধরনের মন্তব্য মোদিবিরোধী জোট বা সমঝোতার সহায়ক কি?
[আরও পড়ুন: নরেন্দ্র মোদি সরকারের সাত বছরে দুর্নীতি কি কমেছে?]
শুধু তো গোয়ায় কংগ্রেসের এই আচরণ নয়, সামগ্রিকভাবে শতবর্ষপ্রাচীন এই ঐতিহাসিক রাজনৈতিক দলটার পরিস্থিতি দেখে দুঃখ হয়। মনে হয়, কংগ্রেসের হলটা কী? একজন সাংবাদিক হিসাবে যখন বিভিন্ন ঘটনা জানতে পারি এবং চোখের সামনে দেখতে পাই, কংগ্রেসে কী হচ্ছে– তখন মনে হয়, এটা গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়। এখন কংগ্রেস যদি নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে প্রধান রাজনৈতিক দল হয় এবং রাহুল গান্ধী হন তার কাণ্ডারি, তবে তা দেশের জন্যও ভাল, আবার গণতন্ত্রের জন্যও ভাল। যদি বিরোধী নেতৃত্ব দুর্বল হয়, তাহলে মোদির রাজনৈতিক কর্তৃত্বের যে স্বৈরাচারী মনোভাব, তা বাড়ার সম্ভাবনা ততোধিক।
একটা ছোট উদাহরণ দিই। যেমন, গুজরাত হল মোদি-শাহর রাজ্য। সেখানে গত ২ মার্চ কংগ্রেস দলের সভাপতি অমিত জাবদা এবং বিধানসভার বিরোধী দলনেতা পরেশ ধানানি ইস্তফা দেন। এখনও পর্যন্ত এই শূন্যপদ ভরাট করা হয়নি। সম্প্রতি দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কে. সি. বেণুগোপালের কাছে প্রায় কুড়ি জন কংগ্রেস নেতা গুজরাত থেকে এসে দাবি জানান, অবিলম্বে তারা এই সাংগঠনিক পদে নতুন ব্যক্তি নিয়োগ করতে চান, তা না হলে গুজরাতে কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে। সামনের বছর গুজরাতের বিধানসভা নির্বাচন। বেণুগোপাল কিন্তু তাঁদেরকে কোনও সুনির্দিষ্ট আশ্বাস দিতে পারেননি। তিনি জানান, ‘রাহুল গান্ধী এখন দেশে নেই। রাহুল গান্ধী জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি দেশে ফিরবেন। তারপরে দেখা যাবে।’
রাহুল গান্ধী নতুন বছরে ছুটি কাটাতে বিদেশে গিয়েছেন। তিনি ঘুরতে যেতেই পারেন, অন্যায় নেই। কিন্তু গুজরাতের মতো একটা সংবেদনশীল রাজ্যে নেতারা কী চাইছেন, তঁাদের কী অসুবিধা হচ্ছে– সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার মতো কোনও নেতৃত্ব নেই সেখানে। রাহুল গান্ধী তো আনুষ্ঠানিকভাবে দলের সভাপতিও নন। কাজেই তাঁর দায়িত্বই বা কতটুকু! অথচ তিনিই যে সমস্ত কিছুর দায়িত্বে আছেন, সেটাও অজানা নয়। কংগ্রেসের মতো একটা দল তো সাংগঠনিকভাবে এইরকম পরাবাস্তবতার মাধ্যমে চলতে পারে না! এমন কিছু ব্যবস্থা বাস্তবায়িত হওয়া প্রয়োজন, যা আমরা চোখের সামনে দেখতে পাব।
[আরও পড়ুন: ‘বিরোধী ঐক্য’ একতরফা হয় না]
পাঞ্জাবে কংগ্রেসের কী হল, কেন হল– সেসব কথা বহুবার আলোচনা হয়েছে। ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রীর পদটিকে নিয়ে কংগ্রেসের মধ্যে কী চলছে, তা-ও সকলে দেখতে পাচ্ছে। যখন ছত্তিশগড়ের রাজ্য সরকার গঠিত হয়েছিল, তখন হাইকমান্ডের এ-কথা বলার কী দরকার ছিল যে, ছ’মাস পরে মুখ্যমন্ত্রী বদল করার প্রস্তাবে তারা রাজি? তারপর সেটা যদি তারা বদল করতে না পারে, বা না চায়, তবে তাতে যে বিক্ষুব্ধ কার্যকলাপ কতখানি বাড়তে পারে, সেগুলোও তো আগাম বোঝার প্রয়োজন ছিল! আমার মনে হয়, কংগ্রেসের অবস্থা যেন অনেকটা সেই টাইটানিক জাহাজের মতো। টাইটানিকের মতো একটা বিশাল জাহাজ কীভাবে ডুবে গিয়েছিল, তা তো আমরা রুপোলি পর্দায় দেখেছি। তাই এখনও যদি কংগ্রেস এ-ব্যাপারে যথোচিত ব্যবস্থা গ্রহণ না করে, তাহলে দলের পরিস্থিতি হবে ভয়াবহ। সপ্তদশ শতাব্দীর লন্ডনে রাজতন্ত্রের বদলে দক্ষিণপন্থী রিপাবলিকান পার্টির জন্ম হয়েছিল। সেই সময় সেই দলের ভূমিকা ছিল সাংঘাতিক। সেই রিপাবলিকান দলটাই লন্ডন থেকে উবে গেল! সেই দলটির কোনও অস্তিত্বই নেই! এইরকম একটা পরিস্থিতি কংগ্রেসের হোক– এমনটা তো কেউ চায় না।
১৩৬ বছরের প্রাচীন এই দলটি প্রায় ৯০ বছরেরও বেশি সময় তার মাথায় বসিয়ে রেখেছে নেহরু এবং গান্ধী পরিবারের সদস্যদের। নেহরু এবং ইন্দিরা গান্ধী মিলে দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ২৮ বছর। ইন্দিরা গান্ধী দলের সভাপতি ছিলেন একটানা সাত বছর। ওঁর পুত্র রাজীব গান্ধী ছিলেন ছ’বছর। রাজীব গান্ধীর মৃত্যুর পর, পি. ভি. নরসিমা রাও দলের সভাপতি হন ১৯৯১ সালে, ৫ বছরের জন্য। তারপর সীতারাম কেশরী দলের সভাপতি হন মাত্র ১৮ মাসের জন্য। আর তারপরেই প্রবেশ করেন সোনিয়া গান্ধী এবং তারও পরে রাহুল গান্ধী। রাহুল গান্ধীর ২০ মাসের সভাপতিত্বর সময়টা বাদ দিলে, বাকি সময়, অর্থাৎ ২৩ বছর ধরে কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন সোনিয়া গান্ধী। কিন্তু সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্ব-কালে কংগ্রেস শতকরা ৩১.৬ ভাগ ভোট-শেয়ার হারিয়েছে। লোকসভা আসনে ৫০.২ ভাগ আসনসংখ্যা কমে গিয়েছে। যথাযথভাবে দলের নির্বাচন কার্যত হয়নি। ফলে কংগ্রেসের নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে অনেকের কংগ্রেস ছাড়ার ঘটনাও ঘটে চলেছে।
আমার-আপনার ভাল লাগুক আর না-লাগুক, কিছু বাস্তব তথ্য মানতেই হয়। যেমন, ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে ‘ইন্ডিয়া টুডে’ গ্রুপ একটা জন-সমীক্ষা করে। তারা ৬৭ শতাংশ গ্রামীণ এলাকা ও ৩৩ শতাংশ শহর মিলে মোট ১২,২৩২ জন মানুষের উপর এই সমীক্ষাটা চালায়। ১৯টি রাজ্যে সেই সমীক্ষা-বিবরণে শতকরা ৩০ ভাগ মানুষ বলেছিলেন, মোদি সরকারের কাজকর্ম অসাধারণ! শতকরা ৪৪ ভাগ মানুষ বলেছেন, ভাল। শতকরা ১৭ ভাগ মানুষ বলেছেন, অ্যাভারেজ। শতকরা ৬ ভাগ মানুষ বলেছেন, খারাপ। আর শতকরা ২ ভাগ মানুষ বলেছেন, খুব খারাপ। যখন প্রশ্ন করা হয়েছিল, কে সবচেয়ে ভাল প্রধানমন্ত্রী হতে পারে? তখন শতকরা ৩৮ ভাগ মানুষ বলেছেন মোদি, শতকরা ১০ ভাগ মানুষ বলেছেন যোগী আদিত্যনাথ, শতকরা ৮ ভাগ মানুষ বলেছেন অমিত শাহ, শতকরা ৭ ভাগ মানুষ বলেছেন রাহুল গান্ধী। এর থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে, জনপ্রিয়তার মাপকাঠিটা কার দিকে কতটা ভারী ছিল। সেই কারণে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, নরেন্দ্র মোদি যেরকমটা বলেছিলেন, সেই কংগ্রেস-মুক্ত ভারতের দিকেই কি ভারত চলেছে? মোদি-যুগ কি তাহলে কংগ্রেস যুগের অবসান ডেকে আনছে?
অতীতে কংগ্রেসের সংগঠনে এ-রাজ্যে একটা শক্তিশালী নেতৃত্ব ছিল। প্রত্যেক রাজ্যেই একজন করে বর্ষীয়ান নেতা ছিলেন। তামিলনাড়ুতে কামরাজ, উড়িষ্যায় বিজু পট্টনায়ক, মহারাষ্ট্রে পাটিল থেকে চৌহান এবং পশ্চিমবঙ্গে ডা. বিধান রায়। এই কংগ্রেসের যে ডায়ানামিক্স, সেটা ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হয়ে ইন্দিরা গান্ধীর সময় তৈরি হল ‘হাইকমান্ড’ নামক পরম শক্তিমান এক অস্তিত্ব। যার ফলে রাজ্য নেতৃত্বগুলো কার্যত হাইকমান্ডের স্তাবকে পরিণত হল। তাতে একদিকে যেরকম দিল্লির স্বৈরাচারী নিয়ন্ত্রণ বাড়ল, অন্যদিকে সংগঠনেরও বারোটা বাজল। জেলায় জেলায় রাজ্য নেতৃত্বের কর্তৃত্ব নষ্ট হয়ে গেল। যার ফলে মানুষ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল।
[আরও পড়ুন: সর্বভারতীয় স্তরে আরও একধাপ এগোলেন মমতা]
অতীত ঘাঁটলে দেখা যায়, নেহরুর সময় ডা. বিধানচন্দ্র রায় কী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন! নেহরুর সময় যে তাঁর দলের মধ্যে সংকট তৈরি হত না, কলহ হত না, অন্তর্দ্বন্দ্ব ছিল না– এমন নয়। রফি আহমেদ কিদওয়াই, ‘কিষাণ-মজদুর প্রজা পার্টি’ নামক নতুন দল করছেন। নেহরুর সঙ্গে তাঁর বিরোধ বাধছে। কিদওয়াইয়ের সঙ্গে ডা. বিধান রায়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব থাকায় তিনি দিল্লিতে গিয়ে কিদওয়াইয়ের সঙ্গে দেখা করে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন, যাতে এই বিচ্ছেদ ঘোচানো যায়। শেষ পর্যন্ত তিনি সেটা করতে পারেননি এবং কিদওয়াই দল থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। কিন্তু সেদিনের ডা. বিধানচন্দ্র রায়ের সেই ভূমিকা এখনও প্রাসঙ্গিক।
পুরুষোত্তম দাস ট্যান্ডন দলের সভাপতি। তাঁর সঙ্গে নেহরুর কতখানি সংঘাত হয়েছিল, তা ডা. বিধান রায়ের সঙ্গে নেহরুর চিঠিপত্রের আদানপ্রদান থেকে জানা যায়। ১৯৫১ সালের ১৭ আগস্ট ডা. বিধান রায়কে চিঠি দিয়ে নেহরু বলেছিলেন, ট্যান্ডনের সঙ্গে কাজ করা তাঁর পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে চান। কেননা, কে মন্ত্রী হবেন, কে হবেন না, কীভাবে সরকার চালানো হবে– এসব ব্যাপারে যেভাবে ট্যান্ডন নাক গলাচ্ছেন, তা তাঁর পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। ডা. বিধান রায় সেই চিঠির জবাবে বলেছিলেন, কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডেকে দরকার হলে ট্যান্ডনকে সরিয়ে দিতে হবে। আর দ্বিবিধ দায়িত্ব, অর্থাৎ দলের সভাপতিরও দায়িত্ব নেহরুকে নিতে হবে। তা না হলে, এখন দেশের জন্যও বিপদ, দলের জন্যও বিপদ।
বিধানসভা বা লোকসভায় কে নির্বাচনে প্রার্থী হবে, সেসব দল নির্বাচন করত। কিন্তু মন্ত্রিসভা কে গঠন করবে, কাকে দিয়ে সেই কাজ করানো হবে, সেই সমস্ত ঠিক করতেন প্রধানমন্ত্রী। এই সমস্ত সমস্যার সমাধান করছেন ডা. বিধান রায়। সেগুলো তাঁদের পারস্পরিক চিঠি আদানপ্রদানে বোঝা যাচ্ছে। এই যে তাঁদের সম্পর্ক এবং একটা দল চালানোর জন্য দিল্লি এবং পশ্চিমবঙ্গ তথা রাজ্যের নেতৃত্বের যৌথ ভূমিকা– তা তো এখন ইতিহাস! এই গান্ধী পরিবারই যে ধীরে ধীরে কংগ্রেসকে এই জায়গায় নিয়ে এসেছে, তার দায়িত্বটা তো তাদের নিতে হবে। তাই শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস-বিরোধিতা করছেন দাবি করে এবং সেই কংগ্রেস-বিরোধিতাকে নিন্দা করে এই সাংগঠনিক সংকটের হাত থেকে কংগ্রেস রেহাই পাবে না।
ভুলে গেলে চলবে না, সোনিয়া গান্ধী কিন্তু রামবিলাস পাসোয়ানের মতো একজন ক্ষুদ্র ইউপিএ শরিকের মানভঞ্জন করতে দশ নম্বর জনপথ থেকে হেঁটে হেঁটে তাঁর বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন। বলতেই পারেন, সেটা ছিল ‘ফোটো অপারচুনিটি’। তবে সোনিয়া গান্ধী কিন্তু সেদিন শরিকদের জন্য একটা মৈত্রীর বার্তা দিয়েছিলেন। রাহুল গান্ধী সেই বার্তাটা দিচ্ছেন কোথায়?