সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘২০১৯-এ কংগ্রেস যদি সরকার গড়ার মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায়, তাহলে রাহুল গান্ধীর কপালে অন্তত একটা বউ যেন জুটে যায়।’ গোরক্ষনাথ মন্দিরে এই ‘প্রার্থনা’ই করলেন স্বাধ্বী প্রাচী। সোমবার গোরক্ষপুরের গোরক্ষনাথ মন্দিরে প্রার্থনার জন্য যান এই বিজেপি নেত্রী। প্রার্থনা শেষে রাহুল গান্ধী তথা কেন্দ্রের প্রধান বিরোধী কংগ্রেসকে এভাবেই কটাক্ষ করলেন সাধ্বী প্রাচী।
[সংরক্ষণের দাবিতে চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী মারাঠি যুবক]
তিনি বলেন, ‘এমনিতেই শ্রাবণ মাসের প্রথম সোমবার। তায় প্রায়ই গোরক্ষনাথ মন্দিরে গিয়ে প্রার্থনা করে থাকি। মূলত গোরক্ষনাথের কৃপা পেতেই এখানে আসা হয়। তবে এদিন আমার ‘প্রার্থনা’ ছিল কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর জন্য। আমি ‘প্রার্থনা’য় জানিয়েছি, যদি তারা আগামী বছর লোকসভা ভোটে সরকার গড়ার মতো সংখ্যা গরিষ্ঠতা না পায়। তাহলে অন্ত একজন জীবন সঙ্গিনী যেন রাহুল গান্ধী পেয়ে যান।’
এদিকে দলের সভাপতির সম্পর্কে এহেন কটাক্ষের পরেই ফুটছে কংগ্রেস শিবির। পালটা কটাক্ষ হেনে উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের মুখপাত্র অশোক সিং বলেছেন, কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে নিয়ে ঠাট্টা সুলভ মন্তব্য করা বিজেপির অভ্যেসে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। এনিয়ে ট্রেন্ড তৈরি করে ফেলেছে বিজেপি নেতৃত্ব। বোঝাই যায় এসব হাস্যকর মন্তব্য করেই দৈনন্দিন জীবনে বেঁচে থাকার রসদ খুঁজে পান তাঁরা। তবে সাধ্বীর মতো একজনের মুখে এহেন রসিকতা, নিম্নরুচির পরিচায়ক।
বলা বাহুল্য, বিয়ে নিয়ে বরাবর রাহুল গান্ধীকে বিঁধেছে বিজেপি নেতৃত্ব। লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে এহেন আক্রমণের সংখ্যা। কয়েকদিন আগেই রাহুলের প্রধানমন্ত্রীত্ব নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। যেহেতু মা সনিয়া গান্ধী বিদেশি তাই কংগ্রেস জিতলেও প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসতে পারবেন না রাহুল। বিএসপি-র এক নেতার এহেন বক্তব্য শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। পরে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামেন বিএসপি নেত্রী মায়াবতী। ওই বিএসপি নেতাকে বহিষ্কারও করা হয়েছে।
[সংসদে রূপান্তরকামীদের নিয়ে ঠাট্টা, ক্ষমা চাইলেন মানেকা গান্ধী]
The post ২০১৯-এ কংগ্রেস হারলেও রাহুল যেন বউ পেয়ে যান, ‘প্রার্থনা’ এই বিজেপি নেত্রীর appeared first on Sangbad Pratidin.