সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আশ্রম প্রাঙ্গনে চলছে ঈশ্বর বন্দনা। দলে দলে ভক্তগত প্রমাণ জানাচ্ছেন স্বঘোষিত ধর্মগুরুকে। আর ভিতরে গত দশদিন ধরে দুই সাধ্বীকে লাগাতার ধর্ষণ করে চলেছে আশ্রমের প্রধানরা। এমন খবরেই এবার চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তরপ্রদেশের বাস্তি জেলায়।
গুরমিত রাম রহিমের পর বুধবারই শিরোনামে এসেছে আরেক স্বঘোষিত ধর্মগুরুর কুকীর্তি। ধর্মের বর্ম সামনে রেখেই যার আশ্রমে চলত অবাধে যৌনাচার। জোর করে আটকে রাখা হত নাবালিকাদের। তারপর খুশিমতো যৌনসঙ্গী হিসেবে ব্যবহার করা হত তাদের। দিল্লির রোহিনি আশ্রমে অভিযান চালিয়ে রীতিমতো সেক্স ব়্যাকেটের সন্ধান পায় পুলিশ। আর এবার রাম রহিমের ডেরা সাচা সওদার মতোই যৌনাচারের ছবি ধরা পড়ল বাস্তি জেলার এক আশ্রমে।
[অক্ষয়ের ‘টয়লেট: এক প্রেম কথা’ অনুপ্রাণিত করেছে বিল গেটসকে, জানেন কীভাবে?]
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২০০৮ সালে থেকে সেই আশ্রমেই থাকতেন দুই সাধ্বী। সে সময় সব ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু তারপরই আস্তে আস্তে আশ্রমের মুখোশ খুলে যায় তাঁদের সামনে। যা চরম মাত্রায় পৌঁছয় গত দশদিনে। ব্রজনন্দ, সচিদানন্দ, পরচেতনন্দ, বিশ্বাসনন্দ নামে চার মহন্ত আশ্রমের ওই দুই সাধ্বীকে মাঝেমধ্যেই সঙ্গমের জন্য জোর করত। প্রস্তাব অস্বীকার করলে শারীরিক অত্যাচারও চালানো হত তাঁদের উপর। শুধু তাই নয়, যৌন মিলনে রাজি না হওয়ায় আশ্রমেরই চার কর্মী তাঁদের একটি ঘরে বন্দি করে রেখেছিল বলে অভিযোগ। তারপর সেখানেই ১০ দিন ধরে চলে লাগাতার গণধর্ষণ। এরপর কোনওক্রমে সেখান থেকে পালিয়ে প্রাণে রক্ষা পান দুই সাধ্বী।
মঙ্গলবার বাস্তি থানায় আশ্রমের ওই চার মহন্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। বাস্তি থানার এসপি জানান, দুই যুবতীর মেডিক্যাল চেক-আপ করা হচ্ছে। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে আশ্রমে তল্লাশি চালায় পুলিশ। অভিযুক্ত চার মহন্তই আপাতত পলাতক। তাদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। তবে বারবার এমন ঘটনা সামনে আসায় আশ্রমগুলির কার্যকলাপ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
[ঋতুমতী হলেই ভক্তের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক, ফের কাঠগড়ায় স্বঘোষিত ধর্মগুরু]
The post আশ্রমে বন্দি করে লাগাতার গণধর্ষণ দুই সাধ্বীকে, চাঞ্চল্য উত্তরপ্রদেশে appeared first on Sangbad Pratidin.