সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শেষবার তাঁরা একসঙ্গে জনতার মধ্যে গিয়েছিলেন ২০১৭ সালের উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের সময়। সেবার ফলাফল মোটেই সন্তোষজনক হয়নি। ভরাডুবি হয় সমাজবাদী পার্টি-কংগ্রেস জোটের। সেই ব্যর্থতা ভুলে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সরকারকে আটকাতে ফের একসঙ্গে ‘ইউপি কে দো লড়কে’। রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় যোগ দিলেন সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব।
রবিবার আগ্রায় রাহুলের যাত্রায় যোগ দেন অখিলেশ। আগ্রার জনসভায় তিনি বলেন, “আগ্রা শহর গোটা দুনিয়ায় পরিচিত ভালোবাসার জন্য। আর রাহুল এখানে ভালোবাসার দোকান নিয়েই এসেছে। এই গোটা শহরটাই ভালোবাসার শহর। আগামী দিনে আমাদের সামনে সংবিধান এবং গণতন্ত্র বাঁচানোর লড়াই। আর আমি নিশ্চিত আগামী নির্বাচনে এই ইন্ডিয়া (INDIA) জোট এবং পিডিএ (PDA), এনডিএকে হারিয়ে দেবে।” এদিন অখিলেশকে সামনে রেখে ফের জাতি সমীক্ষার দাবি জানিয়েছেন। দলিত, ওবিসি এবং সংখ্যালঘুদের ঐক্যবদ্ধ করার ডাক দিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: সম্প্রীতি উড়ালপুলের গার্ডরেলে বেপরোয়া বাইকের ধাক্কা, মৃত ২]
রাহুলের যাত্রায় অখিলেশের যোগ দেওয়াটা ইন্ডিয়া জোটের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ। একটা সময়, রাহুলের যাত্রায় অখিলেশের যোগ দেওয়া নিয়ে বড়সড় সংশয় তৈরি হয়েছিল। আসলে দীর্ঘ আলোচনার পরও আসনরফা নিয়ে কংগ্রেস এবং সমাজবাদী পার্টির (Samajwadi Party) জট কাটছিল না। অখিলেশও জানিয়ে দেন, আসনরফা চূড়ান্ত না হলে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় যোগ দেবেন না তিনি। দিন তিনেক আগেই উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস এবং সমাজবাদী পার্টির আসনরফা চূড়ান্ত হয়েছে। সেই রফা অনুযায়ী উত্তরপ্রদেশের ৮০ আসনের মধ্যে ১৭টি লড়বে কংগ্রেস। বাকিগুলিতে লড়বে সমাজবাদী পার্টি এবং অন্যান্য জোটসঙ্গীরা।
[আরও পড়ুন: লাগাতার হিংসায় জ্বলছে সন্দেশখালি, কী বলছেন তারকা সাংসদ নুসরত?]
এর আগে বিহারে রাহুলের যাত্রায় যোগ দিয়েছিলেন তেজস্বী যাদব। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী চম্পই সোরেনও যোগ দেন কংগ্রেসের কর্মসূচিতে। এবার যোগ দিলেন অখিলেশও (Akhilesh Yadav)। কংগ্রেসের বক্তব্য, পরপর যেভাবে জোট শরিকরা যাত্রায় যোগ দিচ্ছেন, তাতেই বোঝা যাচ্ছে ইন্ডিয়া জোট শক্তিশালী হচ্ছে।