সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) জিততে ‘নীল নকশা’ তৈরি করে ফেলেছে সমাজবাদী পার্টি। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ‘সাইকেল’-এর গতি বাড়াতে জাতপাতের জটিল অঙ্কের ফর্মুলা মেনে এবার ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের মন পেতে সচেষ্ট হয়েছেন দলের প্রধান তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব। প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে নেই বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতীও (Mayawati)।
[আরও পড়ুন: #AbkiBaarDidiSarkar, কেন্দ্রে মমতার সরকার চেয়ে টুইটারে ট্রেন্ডিং নতুন হ্যাশট্যাগ]
জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের ভোট বৈতরণী পেরতে এবার বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে একগুচ্ছ সভা করতে চলেছে সমাজবাদী পার্টি। আর এই সভাগুলির মূল উদ্দেশ্য হবে ভোটবাক্সে রাজ্যের ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের সমর্থন আদায় করা। রবিবার দলের ‘প্রবুদ্ধ সভা’ ও ‘পরশুরাম পীঠ’-এর নেতা ও বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন সপা প্রধান অখিলেশ। দলের মুখপাত্র রাজেন্দ্র চৌধুরী জানিয়েছেন, বৈঠকে স্থির হয়েছে যে ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের সমর্থন আদায় করতে আগামী মাসে বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে একগুচ্ছ সভা করা হবে। এই কার্যক্রম শুরু হবে বালিয়া জেলা থেকে। ওই সম্মেলনগুলিতে দলের মতাদর্শ তুলে ধরবেন সমাজবাদী পার্টির প্রবীণ ব্রাহ্মণ নেতা তথা বিধানসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ মাতাপ্রসাদ পাণ্ডে। থাকছেন দলের বুদ্ধিজীবী শাখার প্রধান মনোজ পাণ্ডে ও সনাতন পাণ্ডে-সহ অন্যান্য ব্রাহ্মণ নেতারা। শুধু বৈঠক নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সফর ও রোড শো করে ‘বর্ণশ্রেষ্ঠ’দের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করবেন তাঁরা।
এদিকে, ব্রাহ্মণদের মন পাওয়ার প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে নেই ‘বহুজন সমাজ পার্টি’ও (BSP)। উত্তরপ্রদেশে দলের ব্রাহ্মণ মুখ তথা সাধারণ সম্পাদক সতীশ চন্দ্র মিশ্রর নেতৃত্বে ‘প্রবুদ্ধ সম্মেলন’ শুরু করেছে ‘দলিত’ রাজনীতি করে আসা দলটি। অযোধ্যা থেকে ‘বিজেপির অত্যাচারের’ বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণদের একজোট হওয়ার ডাক দিয়েছেন ‘বেহেনজি’। বিশ্লেষকদের মতে, উত্তরপ্রদেশে ব্রাহ্মণ ও ঠাকুর সম্প্রদায়ের মধ্যে রেষারেষি বরাবরই রয়ছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঠাকুর সম্প্রদায়ের। আর্থিক দিক থেকে বলীয়ান ভূস্বামী ঠাকুরদের রাজনৈতিক প্রতিপত্তিও জোরাল। উত্তরপ্রদেশে বিগত বিধানসভা নির্বাচনে হিন্দুত্বের নামে ঠাকুর ও ব্রাহ্মণ দুই সম্প্রদায়ের ঢালাও ভোট পেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু সম্প্রতি পরিস্থিতি পালটেছে, গ্যাংস্টার বিকাশ দুবের এনকাউন্টারের পর ‘ব্রাহ্মণ অস্মিতা’ চাগাড় দিয়ে উঠেছে। গায়ের জোরে ব্রাহ্মণদের উপর দাপট দেখাচ্ছে ঠাকুররা বলেও বেশ কয়েকবার অভিযোগ উঠেছে। এহেন পরিস্থিতিতে যাদব, দলিত মুসলিম ভোটের পাশাপাশি ব্রাহ্মণদের সমর্থন আদায়ে সচেষ্ট রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলি।