সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৫০ দিন কেটে গেলেও গ্রেপ্তার হয়নি তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। অথচ পুলিশি ধরপাকড়ের মুখে এক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। তার প্রতিবাদে ফের নতুন করে উত্তপ্ত সন্দেশখালির বেড়মজুর। গ্রামবাসীদের দাবি, পুলিশ বিনা কারণে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী-সহ ২০ জনকে আটক করে গাড়িতে তোলে। তার প্রতিবাদে পুলিশের ভ্যান আটকাতে রাস্তায় শুয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় মহিলারা। বিক্ষোভে শামিল হয় বিজেপির মহিলা প্রতিনিধি দল। পরে বিক্ষোভকারীদের টেনেহিঁচড়ে সরিয়ে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যায় পুলিশ।
সন্দেশখালির বেড়মজুর এলাকা সকাল থেকেই উত্তপ্ত। কাছারিপাড়া এলাকার বাসিন্দারা লাঠি, ঝাঁটা হাতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন। বেড়মজুর ১-এর এই এলাকায় আলাঘরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি, শেখ শাহজাহানের ভাই সিরাজ শেখ ও তাঁর লোকজন নিজেরাই আলাঘরে আগুন দিয়ে দোষ চাপাচ্ছে সাধারণ বাসিন্দাদের উপর। তার প্রতিবাদেই বিক্ষোভ। এই বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার ও ডিজি রাজীব কুমার। পুলিশ সবদিক নজরে রাখছে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: ‘ডাকলেই যাবে কেন?’, গভীর রাতে মিটিং নিয়ে মহিলাদেরই তোপ সন্দেশখালির তৃণমূল নেত্রীর]
কিছুক্ষণ বিক্ষোভ চলার পর পুলিশ ধরপাকড় শুরু করে। দুপুরে গ্রাম থেকে অন্তত ২০ জনকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে একজন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী রয়েছে বলেও দাবি স্থানীয়দের। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বিনা কারণে বাড়ি বাড়ি ঘুরে পুলিশ পুরুষ এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে আটক করেছে। পুলিশি ধরপাকড়ের প্রতিবাদে ফের নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। পুলিশের গাড়ি রুখতে রাস্তায় শুয়ে পড়েন মহিলারা। গাছের গুঁড়ি ফেলে বিক্ষোভ দেখাতেও শুরু করেন তাঁরা। ইলেকট্রিক পোল, কাঁটা গাছও ছড়িয়ে দেওয়া হয় রাস্তায়। এলাকায় কান্নার রোল পড়ে যায়। মহিলাদের হাহাকার, আর্তনাদে ভারী গোটা গ্রাম।
তবে টেনেহিঁচড়ে রাস্তা থেকে মহিলাদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। আটক অন্তত ২০ জনকে সঙ্গে নিয়ে গ্রাম ছাড়েন উর্দিধারীরা। পরে অবশ্য উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলেই খবর। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে মহিলা পুলিশের বিশাল দল।
দেখুন ভিডিও: