সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লতা মঙ্গেশকরের (Lata Mangeshkar) প্রয়াণ সংবাদ এখনও জানানো হয়নি সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে (Sandhya Mukherjee)। কোভিডমুক্ত হলেও এখনও দুর্বল গীতশ্রীর শরীর। এই দুঃসংবাদের ধাক্কা সামলে ওঠার মতো পরিস্থিতি তাঁর নেই। সেই কারণেই সুরসম্রাজ্ঞীর প্রয়াণের খবর জানানো হয়নি তাঁকে।
বয়সের হিসেবে লতা মঙ্গেশকরের থেকে মাত্র দু’বছরের ছোট সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। একসময়ে দু’জনের রেষারেষির খবরও শোনা যেত। কিন্তু পরে এক সাক্ষাৎকারে তা উড়িয়ে দেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। জানিয়েছিলেন নিজেদের ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বের কথা।
পাঁচের দশকে মুম্বইয়ে নিজের কেরিয়ার শুরু করেছিলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। শোনা যায়, সেই সময় লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব শুরু হয়। মুম্বইয়ে যে হোটেলে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় থাকতেন, সেখানে প্রায়ই চলে আসতেন লতা মঙ্গেশকর। গীতশ্রীর মায়ের রান্না করা নিরামিষ পদ খেতে খুবই ভালবাসতেন তিনি। তারপর জমিয়ে গল্প হত দু’জনের মধ্যে। আড্ডা দিতেন। যেদিন আসতেন, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মাকে একটু বাড়তি ‘চাউল’ (চাল) নিতে বলতেন।
[আরও পড়ুন: ‘আল্লাহ তেরো নাম, ঈশ্বর তেরো নাম’, লতার শেষযাত্রায় শাহরুখের প্রার্থনায় ফুটে উঠল আসল ভারত]
রেষারেষির গুজব শুনে একবার লতা মঙ্গেশকর সরাসরি সন্ধ্যাকে প্রশ্ন করে বলে উঠেছিলেন, “আমি কেন তোমায় হিংসে করব?” লতার কথা শুনে হেসে ফেলেছিলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। সেই হাসি ছড়িয়ে গিয়েছিল সুরসম্রাজ্ঞীর মুখেও।
করোনা আক্রান্ত হয়েই হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন লতা ও সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। টানা ২৮ দিন লড়াই করেছিলেন কোকিলকণ্ঠী। চেষ্টা করেছিলেন চিকিৎসকরাও। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। কোভিড ও নিউমোনিয়ার জোড়া ধাক্কা সামলে উঠতে পারেননি তিনি। করোনামুক্ত হওয়ার পরও রবিবার মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন লতা মঙ্গেশকর। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় এখন করোনামুক্ত। তবে সংকট কাটেনি বলেই জানানো হয়েছে হাসপাতাল সূত্রে।