সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্যামেরার সামনে যে মাংসপেশি দেখে দর্শকরা উৎফুল্ল হয়ে উঠতেন। তা আজ অতীত। কপালে চিন্তার বলিরেখা। মুখে চামড়া কুঁচকে গেছে। চেনা হাসিটা আজ উধাও। ক্যানসারের মারণ থাবায় এমনই চেহারা হয়েছে সঞ্জয় দত্তর (Sanjay Dutt)। যে মানুষটা এতদিন রুপোলি পর্দায় ‘খলনায়ক’ সেজেও দর্শকদের ধূসর চরিত্রকে ভালবাসতে শিখিয়েছেন, মুন্না ভাই হয়ে ‘জাদু কি ঝাপ্পি’ দিতে শিখিয়েছেন আজ যেন তাঁরই ভালবাসার সেই আলিঙ্গন প্রয়োজন। নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সঞ্জয় দত্তের এই ছবিটি। যা দেখে চমকে উঠেছেন নেটিজেনরা। মাত্র কয়েকদিনেই শীর্ণকায় হয়ে গিয়েছেন বলিউডের অ্যাকশন হিরো।
গত আগস্টে টুইট বিবৃতিতে সঞ্জয় দত্ত জানিয়েছিলেন, চিকিৎসার জন্য সিনেমা থেকে সাময়িক বিরতি নিচ্ছেন তিনি। কারণটা ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সকলের কাছে স্পষ্ট হয়ে যায়। জানা যায় ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত সঞ্জয়। পরে তাঁর স্ত্রী মান্যতা দত্তও সঞ্জুর অসুখ ও চিকিৎসার কথা স্বীকার করে নেন। প্রথমে শোনা গিয়েছিল মার্কিন মুলুকে চিকিৎসা করাবেন সঞ্জয়। কিন্তু পরে আবার শোনা যায়, অস্ত্র আইনে সাজাপ্রাপ্ত সঞ্জয়কে ভিসা দিতে নারাজ আমেরিকা। তাই সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা করাবেন। সমস্ত জল্পনা নস্যাৎ করে মুম্বইয়েই শুরু হয় সঞ্জয় দত্তের চিকিৎসা।
[আরও পড়ুন: প্রভাস-দীপিকার মেগা বাজেট ছবিতে অমিতাভ বচ্চন, দেখুন ‘বাহুবলী’র ভিডিও বার্তা]
তৃতীয় পর্যায়ে (Stage 3 lung cancer) ক্যানসারে আক্রান্ত সঞ্জয় দত্ত। এই পর্যায়ে নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হয়। মাথা-বুকে যন্ত্রণার পাশাপাশি দ্রুত ওজন কমতে থাকে। হাড়ের ভিতরেও যন্ত্রণা হয়। যা রাত্রে আরও বাড়ে। অস্ত্রোপচার সম্ভব না হলে ফুসফুসের তৃতীয় পর্যায়ের ক্যানসারের ক্ষেত্রে কেমোথেরাপির (Chemotherapy) পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। মার্কিন ক্যানসার সোসাইটির (American Cancer Society) এক সমীক্ষা অনুযায়ী, ১৯৯৯ থেকে ২০১০-এর মধ্যে সেদেশে যাঁরা ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে শতকরা ৩৬ থেকে ২৬ শতাংশ পাঁচ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পেরেছিলেন। তবে সঞ্জয় দত্ত লড়াই করেই ফিরে আসবে স্বাভাবিক জীবনে। সেটাই আশা অনুরাগীদের।