সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্তারা মুখে যাই বলুন না কেন, দলগঠনের কাজে হাত গুটিয়ে বসে নেই মোহনবাগান। অন্তত গতবারের কোচ সঞ্জয় সেনের বক্তব্য থেকেই তা পরিষ্কার। গত মরশুমের সবুজ–মেরুন কোচ জানিয়ে দিলেন, এবারও তিনি মোহনবাগানের দায়িত্বে থাকছেন।
ইস্টবেঙ্গল ইতিমধ্যে কোচ হিসাবে খালিদ জামিলকে তুলে ধরেছে। শুধু চুক্তিপত্রে সই করা নয়, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে খালিদ জানিয়ে দিয়েছেন, আইএসএল–এর অফার থাকলেও তিনি ইস্টবেঙ্গলকে ভালবেসে এই ক্লাবে এসেছেন। তখনই প্রশ্ন উঠে উঠেছিল, মোহনবাগান তাহলে কী করছে? কেন তারা কোচ বা দলগঠনের কাজে পুরোপুরি নামছে না? সভাপতি টুটু বোসের সরে দাঁড়ানোর জন্যই কি দলগঠনের কাজে নামতে পারছে না শতাব্দী প্রাচীন ক্লাব? কিন্তু তলে তলে যে সবকিছু হচ্ছে কোচ নির্বাচন পর্ব থেকেই তা পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। মোহনবাগান কর্তারা সঞ্জয় সেনকে জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁকে অন্যকিছু ভাবতে হবে না। গত তিন বছরের মতো এবারও মোহনবাগানকে দেখভাল করতে হবে তাঁকেই।
[রথের রশির টানে পুরীতে অসংখ্য ভক্ত, জগন্নাথের বিগ্রহ স্পর্শে নিষেধাজ্ঞা]
শুধু সঞ্জয় নন, সহকারী কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তীকে বলা হয়েছে একই দায়িত্বে থাকতে হবে। অর্থাৎ সঞ্জয়–শঙ্করলাল জুটি ফের দেখা যাবে মোহনবাগানে। যদিও খাতায়-কলমে কিছু হয়নি। এদিন অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত বিদেশ থেকে ফিরেছেন। শীঘ্রই সঞ্জয়ের সঙ্গে বসে চুক্তিপত্র চূড়ান্ত করে নেওয়া হবে। সঞ্জয় সেন বলছিলেন, “বলতে দ্বিধা করব না, মোহনবাগানের সঙ্গে আমার লিখিত চুক্তি না হলেও, মুখে কথাবার্তা হয়ে গিয়েছে। ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এবারও যেন আমি মোহনবাগানকে কোচিং করাই। শুধু আমি নই, শঙ্করলালও যেমন ছিল তেমন থাকবে। সোজা কথা, সাপোর্ট স্টাফ যারা ছিল তারাই থাকবে। আমি ব্যাপারটাকে চ্যালেঞ্জ হিসাবেই নিচ্ছি। দল ভেঙে যাওয়া নিয়ে হতাশ নই।”
[ধোনির এই অনন্য কীর্তির কথা জানেন কি?]
মোহনবাগান কোচ জানিয়ে দিলেন, আগামী ৩০ জুন বিদেশ চলে যাচ্ছেন। তাঁর আশা, তার আগেই চুক্তিপত্রে সই–সাবুদের কাজ শেষ হয়ে যাবে। গতবারে ঘরোয়া লিগে তিনি দলের দায়িত্বে ছিলেন না। ব্যক্তিগত সমস্যার দরুন সরে দাঁড়িয়েছিলেন। এবার অবশ্য তেমন কোনও ব্যাপার নেই। মরশুমের শুরু থেকেই দলের দায়িত্বে থাকতে পারেন তিনি। যদিও এই ব্যাপারে এখনও ক্লাব কর্তারা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। ব্যাপারটা ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তাঁর উপরেই।