সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জাতীয় স্তরের একটা ঐতিহ্যবাহী টুর্নামেন্ট। অথচ সেই টুর্নামেন্টের ম্যাচ দেখার জন্য মাঠে দর্শকই নেই। এক-একটা ম্যাচে মেরেকেটে হাজার দেড়ের লোক। নিজেদের দলকে উৎসাহ দেওয়ারও কোনও উৎসাহ চোখে পড়ছে না। একটা ট্রফি খেলতে হয়, তাই যেন খেলা। ফাইনালে কি ছবিটা পালটাবে? বাংলা বনাম কেরলের ফাইনাল দেখতে কি যুবভারতীর গ্যালারি ভরবে? এ প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে ফুটবলমহলে। আর এমন পরিস্থিতিতে ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস সকলকে ম্যাচ দেখতে আসার অনুরোধ জানালেন।
[সুপার কাপের আগে দুর্ঘটনার কবলে মোহনবাগানের টিম বাস]
মৃদুল বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোচিংয়ে গতবারই সন্তোষ ট্রফি জিতে ভারতসেরা হয়েছিল বাংলা। এবার চ্যাম্পিয়নদের মতো খেলেই ফাইনালের টিকিট পেয়েছেন রঞ্জন চৌধুরির ছেলেরা। কিন্তু ফাইনালের লড়াইটা এক্কেবারে আলাদা। তার উত্তেজনা ও চাপ দুইই অনেকটাই বেশি থাকে। তাই রঞ্জন চৌধুরির কাছেও লড়াইটা বেশ চ্যালেঞ্জিং। তবে বাংলার অ্যাডভানটেজ একটাই। ঘরের মাঠে ফাইনাল। খাতায়-কলমে হিসেব এমনটা হলেও সত্যিই কি ঘরের মাঠে বাড়তি সুবিধা পাবেন তীর্থঙ্কররা। কারণ সন্তোষ ট্রফি নিয়ে তো কোনও উত্তেজনাই নেই এ শহরে। অথচ কলকাতা পরিচিত ফুটবলের মক্কা হিসেবে। তবে ক্রীড়ামন্ত্রীর বিশ্বাস ফুটবলের টানে ফাইনালের দিন মাঠে আসবেন দর্শকরা। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তিনি সকলকে ম্যাচ দেখতে আসার অনুরোধও জানান। পাশাপাশি দর্শকদের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য আইএফএ-কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেন। গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থাও থাকবে স্টেডিয়াম চত্বরে। রবিবার ম্যাচের আগেই হাজির হয়ে যাবেন ক্রীড়ামন্ত্রী। বলেন, “ফাইনালে মাঠে নামার আগে বাংলা দলের ফুটবলারদের সঙ্গে দেখা করে ওদের চার্জড আপ করব।”
[দোষ কবুল করে কান্নায় ভেঙে পড়লেন ওয়ার্নার, অজি ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর ইঙ্গিত]
কেরলের বিরুদ্ধে গ্রুপ লিগের ম্যাচে হারতে হয়েছিল বাংলাকে। এবার সেই কেরলের বিরুদ্ধেই ফাইনাল। তবে তার আগে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর বাংলা শিবির। কেরলের বিপক্ষে গ্রুপ লিগের ম্যাচে কোচ রঞ্জন চৌধুরি প্রথম একাদশের পাঁচজন ফুটবলারকে বিশ্রাম দিয়েছিলেন। কারণ, মোহনবাগান মাঠের অবস্থা খুব একটা ভাল ছিল না। ফুটবলারদের যাতে চোট-আঘাত না লাগে, তাই এই সিদ্ধান্ত ছিল। তাঁর সিদ্ধান্ত যে সঠিক ছিল, তা বোঝা গিয়েছিল ওই ম্যাচে। সেই ম্যাচেই দু’জন ফুটবলার চোট পেয়ে টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে গিয়েছিলেন। শনিবার সকালে বাংলার প্র্যাকটিসে তিনি ফুটবলারদের বলেন, “আগের ম্যাচে দলের পাঁচজন ফুটবলার খেলেনি। আমরা হেরেছিলাম। এবার সবাই খেলবে। তোমাদের দেখাতে হবে, তোমরাই সেরা। সন্তোষ ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়াটাই লক্ষ্য।”
The post সন্তোষ ট্রফির ফাইনালে দর্শকদের যুবভারতীতে আসার অনুরোধ ক্রীড়ামন্ত্রীর appeared first on Sangbad Pratidin.