সুমিত বিশ্বাস: একেবারে পেশাদারভাবে রেইকি করার পরই হামলা চালানো হয়েছে ঝাড়খণ্ডের সরাইকেলার কুকরাবাজারে৷ প্রাথমিক তদন্তের পর শুক্রবারের ঘটনায় এই তথ্য উঠে এসেছে পুলিশের হাতে৷ হামলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পাঁচজন পুলিশকর্মী শহিদ হয়েছেন৷ নিখোঁজ হয়ে যাওয়া পুলিশের গাড়ির চালকের খোঁজও পাওয়া গিয়েছে৷ ঘটনার সময়ে উপস্থিত বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে সে পালিয়ে যাওয়াতেই বেঁচে গিয়েছে৷
[ আরও পড়ুন: তান্ত্রিকের সঙ্গে যৌন মিলনের প্রস্তাব স্বামীর! প্রতিবাদ করে খুন স্ত্রী]
প্রাথমিক তদন্তে ঝাড়খণ্ড পুলিশের দাবি, ভিড়ে ঠাসা কুকরাবাজারে হামলার আগে রীতিমতো রেইকি করেছিল মাওবাদীরা৷ তারপরই তারা শুক্রবার ভরা বাজারে হামলা চালায়৷ তদন্তকারীদের দাবি, হাট শুরুর সময় ১৫-১৬জন আগে থেকেই ভিড়ে মিশেছিল৷ এক্কেবারে হাটে প্রবেশের পথে পুলিশের গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে৷ প্রতিদিনের মতো শুক্রবারও সেখানেই দাঁড়িয়ে ছিল পুলিশের টহলদারি ভ্যান৷ আচমকাই বাইকে করে সেখানে পৌঁছায় মাওবাদীরা৷ গাড়ি ঘিরে ধরে প্রথমে শ্বাসরোধ করা হয় পুলিশকর্মীদের৷ তারপরই চলতে থাকে গুলি৷ একের পর এক গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে যায় পাঁচ পুলিশকর্মীর শরীর৷ এই ঘটনার পর থেকে পুলিশের গাড়ির চালকের কোনও সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না৷ তবে ভোররাতের দিকে থানায় ফিরে আসেন তিনি৷ আত্মরক্ষার স্বার্থে হামলার সময় লুকিয়ে গিয়েছিলেন বলেই দাবি তাঁর৷ এ প্রসঙ্গে ঝাড়খণ্ড পুলিশের ডিআইজি (কোলহান রেঞ্জ) কুলদীপ দ্বিবেদী বলেন, ‘‘গুলি চালানোর পর মাওবাদীরা পুলিশকর্মীদের কাছে থাকা ৩টি ইনসাস এবং ২টি পিস্তল লুট করেছে৷’’
[ আরও পড়ুন: ছুটি চেয়ে হেনস্তার শিকার, হরিয়ানায় আত্মঘাতী চিকিৎসক]
প্রসঙ্গত, শুক্রবার বিকেলের ভিড়ে ঠাসা কুকরাবাজারে পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে মাওবাদীরা৷ কিছু বুঝে ওঠার আগেই রক্তাক্ত অবস্থায় গাড়ি থেকে ছিটকে মাটিতে পড়ে যান পুলিশকর্মীরা৷ ভরা বাজারের মাঝে আচমকা মাওবাদী হামলার ঘটনায় ততক্ষণে ছুটোছুটি শুরু হয়ে গিয়েছে৷ দোকানপাট বন্ধ করে ক্রেতা-বিক্রেতা সকলেই কোনওক্রমে প্রাণ বাঁচান৷ বেশ কিছুক্ষণ পুলিশ আধিকারিকরা রাস্তায় পড়ে ছটফট করতে করতেই মারা যান৷ হামলার পর থেকে বাড়ানো হয়েছে এলাকার নিরাপত্তা৷ আতঙ্কেই দিন কাটাচ্ছেন সাধারণ মানুষ৷