বাবুল হক, মালদহ: দল টিকিট দিলেও স্রেফ আসন পছন্দ না হওয়ায় তৃণমূল ছেড়েছিলেন সরলা মুর্মু (Sarala Murmu)। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কয়েকমাসের মধ্যেই মোহভঙ্গ হয়েছে। ‘ঘর ওয়াপসি’র ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি। কিন্তু তাতে মোটেও সায় নেই মালদহ (Maldah) জেলা তৃণমূলের সভাপতি মৌসম নূরের। তিনি সাফ জানিয়েছেন, সরলাকে দলে ফেরানো হবে না।
দলত্যাগীদের দলে ফেরানো প্রসঙ্গে রাজ্যসভার সাংসদ মৌসম নূর (Mausam Noor) বলেন, “ওকে দলে ফেরানো যাবে না। অনেক আবর্জনা দল থেকে গিয়েছিল, তাতে ভালই হয়েছে। উনি শুধুমাত্র ক্ষমতা আর পদের জন্য, নিজের স্বার্থে দল করতেন, তা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওঁকে টিকিটও দিয়েছিলেন, তা সত্ত্বেও উনি দলনেত্রীর বিরুদ্ধে কুকথা বলেছেন। তাই ওনার জায়গা হবে না দলে।” দলত্যাগীদের ফেরানো নিয়ে গতকালই মুখ খুলেছিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। বলেছিলেন, এখনই কাউকে না ফিরিয়ে আগে মনিটরিং করা প্রয়োজন।
[আরও পড়ুন: আর কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নিতে নারাজ বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, জানেন কেন?]
উল্লেখ্য, সরলা মুর্মু্র মতো একাধিক নেতা-নেত্রীর দলত্যাগে মালদহের জেলা পরিষদ কার দখলে থাকবে, তা নিয়ে কার্যত দড়ি টানাটানি শুরু হয়েছিল। তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, তাদের ২৬ জন সদস্য রয়েছেন, যা সংখ্যাগরিষ্ঠ। বিজেপির দাবি, জেলা পরিষদ তাদের দখলে রয়েছে। তাদের সঙ্গে ২১ জন সদস্য রয়েছেন। মালদহ জেলা পরিষদের বোর্ড দখলে রাখতে ১৯ জন সদস্যের প্রয়োজন। তৃণমূলের দখলেই থাকবে মালদহ জেলা পরিষদ বলে দাবি করেন জেলা তৃণমূল সভানেত্রী তথা রাজ্যসভার সাংসদ মৌসম নূর। হিসেবেও এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। ফলে সরলা মুর্মুকে যদি ফেরানোও হয়, তা জেলা পরিষদে কোনও প্রভাবই ফেলবে না।