সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: পঞ্চায়েত নির্বাচনের (WB Panchayet Election) আগে রাজ্যের প্রতিটি কোনায় কোনায় কতটা পৌঁছল উন্নয়ন, কোন জায়গাই বা রয়ে গেল অবহেলিত, তা খতিয়ে দেখতে ঘরে ঘরে যাচ্ছেন ‘দিদির দূত’রা (Didir Doot)। আগামী ২ মাস ধরে এই কর্মসূচি চলবে তৃণমূলের তরফে। তারকা বিধায়ক, মন্ত্রী কিংবা সাংসদ – সকলকেই শামিল হতে হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যাচ্ছেন সকলে। আর গিয়ে জনসাধারণের অভাব-অভিযোগ শুনছেন। তবে রবিবার ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, বীরভূমের তারকা সাংসদ শতাব্দী রায়। তাঁর অভিযোগ, বিক্ষোভকারীরা সকলে বিজেপি সমর্থক, ইচ্ছে করে তাঁকে হেনস্তা করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: বিপুল লাভ সত্ত্বেও কেন হাজার হাজার ছাঁটাই? গুগলের বিরুদ্ধে সরব কর্মী সংগঠন]
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে প্রতিবাদ সভা করতে গিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya)। ঠিক তিনদিন আগেই বাসন্তীর সোনাখালিতে, এই জায়গা সভা করে গিয়েছেন বিজেপির তারকা নেতা মিঠুন চক্রবর্তী, রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। মিঠুন প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিয়েছিলেন, বিজেপি ক্ষমতায় ফিরলে তিনিই আবাস যোজনার বাড়ি বানিয়ে দেবেন। বিজেপির ওই সভার পালটা ছিল এদিন চন্দ্রিমার সভা। মন্ত্রী সেখানে পৌঁছতেই তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরেন এলাকাবাসী। অভিযোগ জানাতে থাকেন। তাঁর সভায় জেলার যুব তৃণমূল নেতৃত্বকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, সেই ক্ষোভও জানাতে থাকেন কয়েকজন। গাড়ি থামিয়ে সকলের কথা শোনেন তিনি। এনিয়ে স্থানীয় বিধায়ক (TMC MLA) শ্যামল মণ্ডলের প্রতিক্রিয়া, ”অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমরা যুব নেতাদের জানিয়েছিলাম সভার বিষয়ে। তাঁদের আসতেও বলা হয়েছিল। কেন তাঁরা কেউ আসেননি, জানি না। তবে মন্ত্রীকে ঘিরে এই বিক্ষোভ মোটেই কাম্য নয়।”
অন্যদিকে, মহম্মদবাজারের ফুল্লাইপুর, বীরুপুর, চড়িচা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এদিন ‘দিদির দূত’ হয়ে ঘুরেছেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায় (Satabdi Roy)। সেখানেও তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরেন স্থানীয় মহিলারা। এলাকায় পানীয় জলের অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। শতাব্দীকে বলতে থাকেন, তাঁরা যে জল খান, সেই জল সাংসদও খেয়ে দেখুন কেমন। তিনি পরিস্থিতি দেখে বলেন, ”এরা সকলেই বিরোধী দলের লোক। ইচ্ছাকৃতভাবে আমাকে হেনস্তা করা হচ্ছে। যে কাজ হয়নি, তা হবে বলেই আমরা এসেছি। এই এলাকায় কাদের পতাকা রয়েছে দেখুন। তাহলেই সব বোঝা যাবে।” প্রসঙ্গত এই এলাকা একেবারেই বিজেপি (BJP) অধ্যুষিত।