সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের বিপদ ঘনাতে পারে উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand)! উপগ্রহে (Satellite) ধরা পড়া ছবি থেকে দেখা গিয়েছে রবিবারের ধসের জেরে ইতিমধ্যেই ঋষিগঙ্গা নদীর গতিপথে তৈরি হয়েছে ফুটবল মাঠের তিন গুণ আকারের একটি কৃত্রিম ও ‘বিপজ্জনক’ হ্রদ (Lake)। সেই হ্রদের দেওয়াল ভেঙে ফের জলোচ্ছ্বাস থেকে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা! এমনই আশঙ্কা করছেন ‘ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’-এর বিজ্ঞানীরা।
জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সব পক্ষই এখন ব্যস্ত ফের কোনও দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে তার প্ল্যান তৈরিতে। এই পরিস্থিতিতে তাদের কাছে বাড়তি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে এই হ্রদ। আজ সকাল থেকেই চেষ্টা করা হচ্ছে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার। হ্রদের উপর দিয়ে হেলিকপ্টার, চালকবিহীন বিমান, ড্রোন উড়িয়ে দেখে নেওয়া হচ্ছে তার অবস্থান। হ্রদটির দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, গভীরতা, তার দেওয়ালের জলের চাপ নিতে পারার ক্ষমতাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এনডিআরএফ-এর ডিরেক্টর জেনারেল এস এন প্রধান জানিয়েছেন, ”সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গোটা পরিস্থিতিটা বুঝে নেওয়ার পরে তবেই কী করণীয় তা স্থির করা হবে। আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি।”
[আরও পড়ুন: বেতন দিতে না পারায় ক্লাসে ঢুকতে দেয়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ, আত্মঘাতী অবসাদগ্রস্ত ছাত্রী]
উপগ্রহের তোলা ছবি থেকে দেখা যাচ্ছে, রনতি নদীর জলে পুষ্ট ঋষিগঙ্গায় ওই হ্রদটি তৈরি হয়েছে। ঋষিগঙ্গা এই মুহূর্তে তপোবন টানেলের দিকেই বইছে। গত রবিবার প্রকৃতির রুদ্র রূপ দেখে কেঁপে উঠেছিল উত্তরাখণ্ড। হিমবাহে ফাটল ধরে দেবভূমির চামোলিতে ধেয়ে এসেছিল বিধ্বংসী হড়পা বান। তপোবন টানেলে আটকে পড়েন অনেকে। চলছিল উদ্ধারকাজ।
এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার ফের সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয় উদ্ধারকাজ। ঋষিগঙ্গা নদীর (Rishiganga river) জল ফের বাড়তে শুরু করাতেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়। এরই মধ্যে এই হ্রদের উৎপত্তি ঘিরে বাড়ছে উদ্বেগ। গারওয়াল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক ওয়াইপি সুন্দ্রিয়াল এলাকা পরিদর্শন করে রীতিমতো আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছেন, হ্রদটির উৎপত্তি ঘিরে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।