সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বিরুদ্ধে একের পর এক পিটিশন জমা দিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে সেই অভিযোগকারীকে আদালত কক্ষ থেকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তার আগে বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদি ও বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার বেঞ্চ পেশায় আইনজীবী ওই অভিযোগকারী অরুণ রামচন্দ্র হুবলিকারের আর্জি খারিজ করে দেয়।
হুবলিকার প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ তদন্তের আর্জি জানিয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, চাকরি থেকে বেআইনি ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে তাঁকে। আর এই সংক্রান্ত মামলায় রঞ্জন গগৈ হস্তক্ষেপ করেছিলেন। এবং এর ফলে তাঁর জীবনে গভীর প্রভাব পড়েছে। তাঁর লিখিত অভিযোগ, 'বিচারপতি গগৈ একটি রায়ে হস্তক্ষেপ করেন। তিনি আমার জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছেন।'
এদিন বিচারপতিদের বেঞ্চের তরফে রীতিমতো হতাশা ব্যক্ত করে বলা হয়, ''আমরা আজ এই বিষয়টির সমাপ্তি ঘটাচ্ছি। কতগুলি আবেদন, একের পর এক!'' এর পর জানিয়ে দেওয়া হয়, তাঁরা ওই ব্যক্তিকে জরিমানা করতে চলেছেন। বলা হয়, ''কোনও বিচারপতির নাম নেবেন না। আপনার মামলায় কিছুই নেই।'' কিন্তু এতেও চুপ করানো যায়নি অভিযোগকারীকে। হুবলিকার বলতে থাকেন, ''আমি যেন আমার মৃত্যুর আগে ন্যায়বিচার পাই।'' কিন্তু বেঞ্চ জানায়, ''দুঃখিত। আমরা হস্তক্ষেপ করব না। আপনার পিটিশন খারিজ করে দেওয়া হল।''
এর পর হুবলিকারকে আদালত কক্ষ থেকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তিনি বলতে থাকেন, ''ম্যাডাম, আপনি আমার সঙ্গে অন্যায় করছেন।'' অবশ্য এই ব্যক্তি এমন আচরণ এই প্রথম করলেন তা নয়। এর আগেও তিনি সুপ্রিম ভর্ৎসনার মুখে পড়েছিলেন। গত ৩০ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চ এই নিয়ে তদন্তের দাবি জানানোয় তীব্র আপত্তি জানিয়েছিল। এবং অভিযোগের তালিকা থেকে গগৈয়ের নাম বাদ দেওয়ার কথা জানিয়েছিল। বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানিয়েছিলেন, একজন প্রাক্তন বিচারপতির নাম কোনও জনস্বার্থে দায়ের করা মামলায় অন্তর্ভুক্ত করলে তাতে বিচারব্যবস্থার সম্মানই নষ্ট হয়।