সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ নিয়ে ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের। এখন থেকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগে আর কেন্দ্র সরকারের একাধিপত্য থাকবে না। এদের নিয়োগ করবে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা এবং প্রধান বিচারপতির যৌথ কমিটি।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি কে এম জোসেফের নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার প্রধান বিরোধী দল এবং প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে একটি কমিটি গড়তে হবে। এই কমিটির সুপারিশ মেনেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ করবেন। যদি কখনও লোকসভায় বিরোধী দলনেতা পদে কেউ না থাকেন, তাহলে বৃহত্তম বিরোধী দলের নেতাকেই এই কমিটিতে নেওয়া হবে।
[আরও পড়ুন: চাকরি খোয়ালেন নবম-দশমের ৬১৮ ‘অযোগ্য’ শিক্ষক, সুপারিশপত্র প্রত্যাহার SSC’র]
মোদি সরকারের আমলে একাধিকবার নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিরোধীদের অভিযোগ, কমিশন নিরপেক্ষতা হারিয়ে বিজেপির নির্দেশে কাজ করছে। নির্বাচন কমিশনারদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এই পরিস্থিতি বদলাতে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রেও কলেজিয়াম সিস্টেম চালু করার দাবিতে একাধিক মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলার ভিত্তিতেই এই রায় দিল শীর্ষ আদালতের সাংবিধানিক বেঞ্চ। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, যতদিন না নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিয়ে সংসদে কোনও আইন তৈরি হচ্ছে, ততদিন এই পদ্ধতি বজায় থাকবে।
[আরও পড়ুন: নারীশিক্ষা রুখতে নৃশংস ইরানের মৌলবাদীরা, এবার গ্যাস হামলায় অসুস্থ শতাধিক ছাত্রী]
শীর্ষ আদালতের এই রায়ে খুশি বিরোধীরা। তাঁরা মনে করছে এই সিদ্ধান্তের ফলে নির্বাচন কমিশনে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ কমবে। তৃণমূল নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন ইতিমধ্যেই টুইট করে বলে দিয়েছেন, এই রায়ের ফলে নির্বাচন কমিশন আবার আগের মতো নিরপেক্ষ হবে। কংগ্রেস বলছে, ক্ষমতা এবং অর্থের বলে গণতন্ত্রকে ভূলুণ্ঠিত করেছিল বিজেপি। এবার কিছুটা স্বচ্ছ্বতা ফিরবে।