স্টাফ রিপোর্টার: এই বছর তো কোনওমতে কেটে গেল। কিন্তু সামনের বছর কী হবে? এখনও পর্যন্ত যা খবর, সামনের মরশুমেও যে এসসি ইস্টবেঙ্গল বিশাল আহামরি দল তৈরি করতে চলেছে এরকম কোনও খবর নেই। সামনের বছরের জন্য ভাল কোনও স্ট্রাইকারকে প্রস্তাব দিলেই সে দীর্ঘ চুক্তি চাইছেন। কিন্তু ক্লাব আর ইনভেস্টরের ভবিষ্যত কী হবে, কেউ জানে না। আর তাই কোনও ফুটবলারের সঙ্গেই দীর্ঘ চুক্তিতে যেতে চাইছে না এসসি ইস্টবেঙ্গল (SC East Bengal )।
ফলাফল যাই হোক, ইনভেস্টররা যদি সামনের মরশুমেও থাকে, তাহলে কোচের পদে রবি ফাউলারের থাকা একশোভাগ নিশ্চিত। আইএসএল (ISL) শুরুর সময়ে কর্তা এবং কোচ দু’পক্ষের সম্মতিতেই দু’বছরের জন্য চুক্তিতে সই করা হয়েছে। চুক্তির মাঝপথেই এসসি ইস্টবেঙ্গল যদি ফাউলারকে ছেড়ে দেয়, তাহলে যেমন বিশাল অঙ্কের জরিমানা দিতে হবে, সেরকম ফাউলারও যদি নিজের থেকে চুক্তিভঙ্গ করে দেশে ফিরে যান, তাহলে বড় ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। চুক্তির সময় দু’বছর করার পিছনে ফাউলারের একটাই যুক্তি ছিল, প্রথমত আইএসএলের খেলার মান আগে দেখিনি। সেরকম ফুটবলারদেরও চেনেন না। ফলে প্রথম বছরটা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়েই যেতে চান তিনি। চুক্তির সময়ে এসসি ইস্টবেঙ্গলের কর্তারাও ফাউলারকে দু’বছরের জন্য লাল-হলুদের কোচ হতে বলেন। ফলে এসসি ইস্টবেঙ্গল যে এখনই কোচ বদলের সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে, এখনও পর্যন্ত সেরকম কোনও খবর নেই। একমাত্র ইনভেস্টররা যদি পরের মরশুমে না থাকে, অথবা, কোচ এবং কর্মকর্তারা উভয়েই একসঙ্গে আলোচনায় বসে ঠিক করলেন, আর একসঙ্গে চলবেন না, তাহলেই ফাউলারকে (Robbie Fowler) পরের মরশুমে কোচের চেয়ারে দেখা যাবে না।দল গঠনের কথা ভেবে মোটামুটি যা আলোচনা হয়েছে, তাতে অ্যারন, ড্যানি ফক্স, স্কট নেভিলের বিদায় নিশ্চিত। পিলকিংটন নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে মাঘোমা এবং স্টেইনম্যানকে রেখে দেওয়া হবে। আর বিদেশের কোনও ক্লাব চলে না গেলে ব্রাইটও থাকবেন।
[আরও পড়ুন: স্পিনার না পেসার? মোতেরায় কারা সাহায্য পাবে? ইংল্যান্ডকে ধন্দে রাখছে টিম ইন্ডিয়া]
আইএসএলে নতুন যোগ দিয়ে এসসি ইস্টবেঙ্গল যেভাবে আগের চুক্তিবদ্ধ ফুটবলারদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য অর্থ ব্যয় করেছে, এই মরশুমে বিশাল অর্থ দিয়ে কোনও বিদেশি ফুটবলারকে সই করাতে পারেনি। মুম্বই সিটি এফসির (Mumbai City FC) স্ট্রাইকার লে ফন্দ্রের বেতন যেখানে ২ কোটি ৮০ লাখের মতো। সেখানে এসসি ইস্টবেঙ্গলের সর্বোচ্চ বেতন ১ কোটি ২০ লাখ পাচ্ছেন, পিলকিংটন। যে স্কট নেভিলকে নিয়ে মরশুমের শুরু থেকে সমালোচনা, সেই স্টক নেভিলের চুক্তির অঙ্ক মাত্র-৫৫ লাখ টাকা। ব্রাইটের চুক্তির অঙ্কও বার্ষিক ১ কোটি ২০ লাখের মতো। তবে এই মরশুমে পাবেন মাত্র চার মাসের বেতন। ভারতীয় ফুটবলারদের মধ্যে বেতন সবচেয়ে বেশি জেজের। পাচ্ছেন প্রায় ৬৮ লাখ টাকা। এই মরশুমে কোনও ফুটবলারের জন্যই বড় অঙ্ক খরচ করতে পারেনি এসসি ইস্টবেঙ্গল। ক্ষতিপূরণ দিতে দিতে এই মরশুমের বাজেট শেষ হয়ে গিয়েছে লাল-হলুদের। এখনও পর্যন্ত যা খরচ, পরের মরশুমেও বিশাল অঙ্কের টাকা দিয়ে ফুটবলার সই করানো হবে, এরকম কোনও খবর আপাতত ইনভেস্টরদের তরফ থেকে নেই। ক্লাবের সঙ্গে তাদের চুক্তি কত দিন দীর্ঘায়িত হবে, সেটাই বোঝা যাচ্ছে না। এই সময় টাকা খরচ করে দীর্ঘ চুক্তির ফুটবলার সই করিয়ে শেষে বিচ্ছেদ হলে সমস্যা তৈরি হতে পারে।