স্টাফ রিপোর্টার: শেষ পর্যন্ত খারাপ রেফারিং নিয়ে ফুটবল ফেডারেশনের (AIFF) কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিল এসসি ইস্টবেঙ্গল (SC East Bengal)। শুক্রবার ফেডারেশনের কাছে জমা পড়া অভিযোগে বলা হয়েছে, খারাপ রেফারিংয়ের জন্য তাদের ভুগতে হচ্ছে। তাই ফুটবল ফেডারেশন যেন বিষয়টা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করার চেষ্টা করে।
জামশেদপুর এফসি-র বিপক্ষে খেলার ২৪ মিনিটের মাথায় দ্বিতীয়বার হলুদ কার্ড দেখিয়ে লিংডোকে মাঠ থেকে বের করে দেন রেফারি রাহুল কুমার গুপ্তা। রেফারির এই সিদ্ধান্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলে দিয়েছে। সবার বক্তব্য, যেহেতু লিমাকে তিনি মারেননি, বলে পা চালিয়ে ছিলেন, তাই দ্বিতীয় হলুদ কার্ডটা কোনওভাবেই হয় না। কিন্তু রেফারি সিদ্ধান্ত নেন লিংডো আসলে বলে নয়, পা চালিয়েছিলেন লিমার পায়ে। ম্যাচের পর রেফারির বিপক্ষে এসসি ইস্টবেঙ্গলের কোচ রবি ফাউলার জানিয়েছিলেন, খারাপ রেফারিংয়ের শিকার হয়েছেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: ‘বাবার মন্তব্যে দুঃখিত’, কৃষকদের সমর্থন করলেও যোগরাজ সিংয়ের মতে সায় নেই যুবরাজের]
ফাউলারের (Robbie Fowler) বক্তব্য ছিল, “আমরা মাঠে বারোজনের বিপক্ষে খেলেছি। কখনও বলব না সব সিদ্ধান্ত আমাদের পক্ষেই যাবে। অথচ সকলে দেখছে, কীভাবে একের পর এক সিদ্ধান্ত আমাদের বিপক্ষে যাচ্ছে। জামশেদপুর ম্যাচে সকলে নিজেদের নিংড়ে দিয়েছে। যেমন আমরা আক্রমণে গিয়েছি। ভাল সামলেছে রক্ষণও। আমরা যথেষ্ট ভাল খেলেছি। তাছাড়া প্রথম আমরা পয়েন্ট অর্জন করলাম।”
এমনিতেই নর্থ ইস্টের বিপক্ষে দু’টো নিশ্চিত পেনাল্টি পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয় লাল-হলুদ শিবির। এই নিয়ে একটা ক্ষোভ ছিল। তাতে ঘৃতাহুতি হয় লিংডোর লালকার্ড। প্রায় ৭০ মিনিট দশজনে খেলতে হয় ফাউলার বাহিনীকে। তবু ম্যাচ গোলশূন্য অবস্থায় শেষ হয়। তাই ফেডারেশনের কাছে এসসি ইস্টবেঙ্গলের জমা দেওয়া অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, তারা যেন এবার থেকে সতর্ক হন।
“এমনিতেই আমরা গত তিনটে ম্যাচে খারাপ রেফারিংয়ের শিকার হয়েছি। তার উপর জামশেদপুরের বিপক্ষে পুরো ঘটনাটা আমরা তুলে ধরেছি ফেডারেশনের কাছে। বোঝাতে চেয়েছি, কীভাবে আমাদের দলকে বারবার বিশ্রি রেফারিংয়ের সামনে ধাক্কা খেতে হয়েছে। এবার নিশ্চয় আশা করতে পারি, রেফারিংয়ের মান উন্নত হবে। প্রকৃত খেলার স্পিরিট তুলে ধরা যেন সম্ভব হয় আমাদের। টুর্নামেন্টের বাকি খেলায় আমরা এমন আশা করতেই পারি।” বলেন এসসি ইস্টবেঙ্গলের এক কর্তা। তবে বিষয়টা শুধু নিজেদের পক্ষেই তুলে ধরতে চায়নি লাল-হলুদ শিবির। বরং তারা অন্যান্য দলকেও বোঝাতে চাইছে, এভাবে রেফারির মানের বিপক্ষে সকলে যেন সোচ্চার হয়। “রেফারিংযের শিকার হলে প্রত্যেকের উচিত ফেডারেশনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো। তাহলে খেলার স্পিরিটটা অন্তত বজায় থাকবে। বিশ্রি ঘটনার শিকার হবে না।” বলছিলেন দলের ওই কর্তা।