সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘এথানে ইতিহাস ঘাঁটতে বসে নেই আমরা।’ তাজমহলের ইতিহাস সংক্রান্ত মামলায় কড়া মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। তাজমহল নিয়ে বিকৃত ইতিহাস পড়ানো হচ্ছে, সঠিক ইতিহাস পড়ানো হোক, এই দাবিতে জনস্বার্থ মামলা হয় শীর্ষ আদালতে। সেই আবেদন বাতিল করে কড়া মন্তব্য করলেন দুই বিচারপতি। একইসঙ্গে তাঁদের পরামর্শ, এই ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টে নয়, আর্কিওলজিক্যাল সার্ভেতে (ASI) যান।
জনৈক সুরজিৎ সিং যাদব জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ, ইতিহাস বই ও পাঠ্যবইতে তাজমহল (Taj Mahal) সংক্রান্ত অনেক ভুল তথ্য় রয়েছে। কেন্দ্রকে ওই তথ্য় মুছে ফেলার নির্দেশ দিক সুপ্রিম কোর্ট, এই দাবিতে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মামলাকারী। তাঁর আবেদন খারিজ করেছে শীর্ষ আদালত। একইসঙ্গে তাজমহলের বয়স জানতে তদন্ত করুক এএসআই। বিচারপতি এমআর শাহ ও বিচারপতি সিটি রবিকুমারের বেঞ্চ জানায়, “আমরা এখানে নতুন করে ইতিহাস ঘাঁটতে বসে নেই। ইতিহাস গতিশীল, তার গতিশীল থাকতে দিন। আবেদন খারিজ করা হল। তবে মামলাকারী আর্কিওলজিক্য়াল সার্ভেতে যেতেই পারেন।”
[আরও পড়ুন: টাকা নয়, কার্ড পাঞ্চ করলেই বের হবে সোনা! কোথায় চালু হল গোল্ড এটিএম?]
মামলাকারী তাজমহল নিয়ে বিস্তর গবেষণা করেছেন বলে দাবি। তাঁর গবেষণায় উঠে এসেছে, যেখানে মুঘল সম্রাট শাহজাহানের স্ত্রী মমতাজকে সমাধিস্থ করা হয়েছে সেখানে আগে থেকেই সুদ্শ ও বিশাল প্রাসাদ ছিল। তিনি আরও দাবি করেছেন, শাহজাহান তাজমহলের স্থপতির নাম কখনই উল্লেখ করেননি। এটা প্রমাণ করে যে রাজা মান সিংয়ের প্রাসাদটা কখনওই পুরোপুরি ধ্বংস হয়নি। কিছুটা আধুনিকীকরণ করা হয়েছিল মাত্র। সেটাই তাজমহলের বর্তমান চেহারা নিয়েছে। আর তাই শাহজাহানের কোনও লেখায় তাজমহলের স্থপতির নাম পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, তাজমহল যে শাহজাহানই তৈরি করিয়েছিলেন, এর কোনও ‘বিজ্ঞানসম্মত প্রমাণ’ নেই। এই স্থাপত্যের আসল ইতিহাস জানতে খুলে দেওয়া হোক তাজমহলের বন্ধ থাকা ঘরের দরজাগুলি। এই আরজি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন অযোধ্যা জেলার বিজেপির মিডিয়া ইনচার্জও। সেই আরজিকে কার্যত উড়িয়ে দেয় শীর্ষ আদালত।