সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রশ্নে ভুল, আর তার জেরে কে নম্বর পাবে বা পাবে না এই চাপানউতোরে আপাতত চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত রইল রাজ্যের প্রাথমিকে নিয়োগ। সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশেই আপাতত চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা। ২০১৪ সালের প্রথমিক টেট পরীক্ষায় প্রশ্ন ভুল হওয়া নিয়ে বিতর্কের জল গড়িয়ে গেল চার বছরেরও বেশি সময়ে। প্রথমে বলা হয়েছিল ১১টি প্রশ্ন ভুল।
[শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনাতেও মিলল না সমাধান সূত্র, চলবে এসএসসি প্রার্থীদের অনশন]
পরে দেখা যায় ছটি প্রশ্ন ও তার জন্য দেওয়া উত্তরের অপশনে ভুল রয়েছে। এই নিয়ে প্রায় পাঁচশো পরীক্ষার্থীর একটি দল মামলা দায়ের করলে হাই কোর্ট নির্দেশ দেয় যে সমস্ত মামলাকারী ভুল প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তাঁরা সকলেই তার জন্য নম্বর পাবেন। পরে সমস্ত পরীক্ষার্থীকেই ভুল প্রশ্নের জন্য নম্বর দেওয়া হোক এই মর্মে পাল্টা মামলা দায়ের হয়। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে মামলাটি ওঠে। বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি উঠলে আদালত চার সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ দেয়। ১ এপ্রিল মামলাটির পরবর্তী শুনানি। ফলে এই সময়ের মধ্যে কোনও রকম নিয়োগই করা যাবে না। তবে , যাঁরা ইতিমধ্যেই নিয়োগপত্র পেয়ে কাজে যোগ দিয়েছেন তাঁদের কাজ চালিয়ে যেতে কোনও সমস্যা হবে না। হাই কোর্ট এ বিষয়ে আগেই নির্দেশ দিয়েছিল এবং সেই নির্দেশই বহাল থাকছে।
[এসএসসি পরীক্ষার্থীদের অনশন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীর]
রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে টালবাহানা নতুন কিছু নয়। ২০১৪-র টেট নিয়ে জটিলতার পাশাপাশি জটিলতা তৈরি হয়েছে একাধিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায়। শিক্ষক নিয়োগে অনীহার অভিযোগ উঠেছে সরকারের বিরুদ্ধে। এদিকে, স্বচ্ছ শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে ধর্মতলায় এক সপ্তাহ ধরে অনশনে। ভিযোগ, উচ্চপ্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি চলছে।যতদিন না সরকারের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হবে, ততদিন অনশন উঠবে না বলে সাফ করে দিয়েছে প্রতিনিধি দল।
The post সুপ্রিম কোর্টে স্থগিত শুনানি, ফের বন্ধ প্রাথমিকে নিয়োগ appeared first on Sangbad Pratidin.