সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণ (Forced Religious Conversion) ‘অত্যন্ত গুরুতর বিষয়’, পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের। প্রতারণা, প্রলোভন কিংবা ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ধর্মান্তকরণ রুখতে কেন্দ্রকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলল দেশের শীর্ষ আদালত। এই ধরনের ঘটনা জাতীয় নিরাপত্তাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিতে পারে বলেও মত আদালতের, ক্ষুণ্ণ হতে পারে নাগরিকের অধিকার তথা ধর্মীয় অধিকার।
সোমবার শীর্ষ আদালতের দুই বিচারপতি এম আর শাহ (MR Shah) এবং হিমা কোহলির (Hima Kohli) বেঞ্চ জানায়, “এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। জোর করে ধর্মান্তকরণ বন্ধ করার জন্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে। নচেত আগামী দিনে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে।” এই বিষয়ে কী কী পদক্ষেপ করছে কেন্দ্র এদিন তা জানতে চায় দুই বিচারপতির বেঞ্চ।
[আরও পড়ুন: ঔপনিবেশিক ধারণা থেকে বেরতে হবে বিচার বিভাগকে, বদলের পক্ষে সওয়াল প্রধান বিচারপতির]
এই বিষয়ে সলিসিটার জেনারেল (Solicitor General) তুষার মেহতা (Tushar Mehta) বলেন, “দু’টি আইন আছে। একটি ওড়িশা সরকারের এবং অন্যটি মধ্যপ্রদেশ সরকারের। ওই আইনে প্রতারণা বা জালিয়াতি, কিংবা অর্থের মাধ্যমে জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব। বিবেচনার জন্য দু’টি আইনকে আদালতের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। শীর্ষ আদালত ওই আইনগুলির বৈধতা বহাল রেখেছে।” তুষারের অভিযোগ, আদিবাসী এলাকায় অনেক ক্ষেত্রেই ধর্মান্তকরণ হয়ে থাকে। অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, “মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা থাকা উচিত। কিন্তু জোর করে ধর্মান্তকরণ কখনও ধর্মীয় স্বাধীনতা হতে পারে না।
[আরও পড়ুন: ‘যোনিচ্ছেদ প্রথা বন্ধ করুন’, ভারতকে মানবাধিকার তোপ কোস্টারিকার]
আদালতের পর্যবেক্ষণ, যদি জোর করে ধর্মান্তকরণ বাস্তবিক চলতে থাকে, তবে তা অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যা প্রভাব ফেলতে পারে জাতীয় নিরাপত্তায় ও নাগরিকের ধর্মীয় স্বাধীনতায়। এই বিষয়ে কেন্দ্রকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে। জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণ রুখতে ঠিক কী কী পদক্ষেপ করছে কেন্দ্রীয় সরকার এবং এই বিষয়ে কেন্দ্রের সার্বিক মতামত জানাতে ২২ নভেম্বর অবধি সময় দিয়েছে শীর্ষ আদালত। এরপর এই বিষয়ে ২৮ নভেম্বরে শুনানি হবে। উল্লেখ্য, গোটা দেশে জোর করে ধর্ম পরিবর্তন নিয়ে মাঝে মাঝে অভিযোগ ওঠে। শীর্ষ আদালতের এদিনের বক্তব্যের পর এই বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেয় সেটাই এখন দেখার।