গোবিন্দ রায়: ফের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি। এবার নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের (SLST) মেধাতালিকা বেনিয়মের অভিযোগ। নিয়োগের ক্ষেত্রে সংরক্ষণের নিয়ম মানা হয়নি বলে কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হলেন চাকরিপ্রার্থীরা। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মামলা দায়ের অনুমতি দিয়েছেন। আগামিকাল অর্থাৎ শুক্রবার মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে গত ১৪ জুলাই নম্বর বিভাজন-সহ মেধাতালিকা প্রকাশ করে এসএসসি (SSC)। চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, সেই মেধাতালিকার সঙ্গে নিয়োগে বিস্তর ফারাক হয়েছে। মেধাতালিকায় নাম নেই এমন অনেকের চাকরি হয়েছে। নিয়োগের ক্ষেত্রে সংরক্ষণের নিয়মও মানা হয়নি। এনিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দৃষ্টি আর্কষণ করেন চাকরিপ্রার্থীরা। নতুন মামলা দায়েরের অনুমতিও দিয়েছেন বিচারপতি।
[আরও পড়ুন: অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে স্বর্ণভাণ্ডার, কী কী উদ্ধার করল ইডি?]
২০১৬ সালের নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নেওয়া হয়। সেই নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ওয়েবসাইটে আপলোড করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টের। মোটের উপর যাঁদের নিয়োগ করা হয়েছে ও যাঁদের নিয়োগ করা হয়নি সকলের তথ্য এবার নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে তুলে ধরার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই তালিকা প্রকাশ্যে আসতেই ফের দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ উঠল। প্রসঙ্গত, নবম-দশম শ্রেণির সহকারী শিক্ষক (SLST) নিয়োগ মামলায় ফের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বা সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ।
রাজ্যের স্কুল শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে ইডির হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জায়গায় জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এমন পরিস্থিতিতে পার্থর আমলে কলেজে নিয়োগেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এবার টেট দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুরও।