সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্কুলে পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাবে। তাই গণধর্ষণের শিকার ছাত্রীকে বোর্ড পরীক্ষায় বসার অনুমতি দিল না স্কুল। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের (Rajasthan) আজমেড়ে। ইতিমধ্যেই স্কুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে আজমেড়ের শিশুকল্যাণ কমিশন। শুরু হয়েছে তদন্ত।
জানা গিয়েছে, গত অক্টোবরে কাকা ও আরও দুই ব্যক্তি ধর্ষণ করেন দ্বাদশ শ্রেণির ওই পড়ুয়াকে। সেই কথা জানতে পেরে ওই পড়ুয়াকে ক্লাসে আসতে বারণ করে দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। তাকে বলে দেওয়া হয়, বাড়িতে বসেই দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে হবে। বেসরকারি স্কুলটির দাবি, অন্য পড়ুয়াদের বাবা-মায়েরা চাইতেন না যে নির্যাতিতা স্কুলে এসে পড়াশোনা করুক। সেই জন্যই তাকে বাড়িতে থেকে পড়াশোনার নিদান দেওয়া হয়। গত চার মাস ধরে বাড়ি থেকেই পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয় ওই পড়ুয়া।
[আরও পড়ুন: বিরোধীদের একী হাল! লোকসভার ইতিহাসে সবচেয়ে কম আসনে লড়ছে কংগ্রেস, তথৈবচ সিপিএমও]
কিন্তু বোর্ড পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড নিতে গেলে ওই ছাত্রীকে দেওয়া হয়নি। স্কুলের তরফে বলা হয়, চার মাস স্কুলে না আসার দরুণ তাকে অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হবে না। দীর্ঘদিন স্কুলে আসেনি তাই ওই স্কুলের পড়ুয়া হিসাবেও তার নাম নথিভুক্ত নেই। অর্থাৎ বোর্ড পরীক্ষায় বসতে পারবে না ওই পড়ুয়া।
গোটা ঘটনাটি অন্য এক স্কুলের শিক্ষিকাকে জানায় সে। তার পরেই শিশুকল্যাণ কমিশনে অভিযোগ দায়ের হয়। কমিশনের চেয়ারপার্সন অঞ্জলি শর্মা জানান, দশম শ্রেণির পরীক্ষায় ওই পড়ুয়া ৭৯ শতাংশ নম্বর পেয়েছিল। দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় বসার সুযোগ পেলে আরও ভালো ফল করতে পারবে। পড়াশোনায় যথেষ্ট ভালো ওই ছাত্রী। কিন্তু স্কুলের গাফিলতিতে তার একটা বছর নষ্ট হতে বসেছে। আপাতত কমিশন চেষ্টা করছে কোনওভাবে যদি এই বছরেই পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পায় ওই ছাত্রী।