shono
Advertisement

সিনিয়র ‘দিদি’র সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ‘বন্ধুত্ব’, মোবাইল উপহার, বাবা আপত্তি করায় চরম সিদ্ধান্ত কিশোরীর

ঘনিষ্ঠতা নিয়ে আপত্তি ছিল পরিবারের।
Posted: 03:25 PM Jan 28, 2024Updated: 03:32 PM Jan 28, 2024

সুমন করাতি, হুগলি: উঁচু ক্লাসের ‘দিদি’র সঙ্গে গভীর বন্ধুত্ব। সেই বন্ধুত্বের খাতিরে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে মোবাইল উপহার দিয়েছিল সেই ‘দিদি’। বিষয়টি মানতে পারেনি ছাত্রীর পরিবার। উপহার ফেরত দিতে বলায় চরম সিদ্ধান্ত নিল সেই স্কুল পড়ুয়া। হুগলির চুঁচুড়ার এক বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

Advertisement

জানা গিয়েছে, দুই ছাত্রী একই স্কুলে পড়ত। সেই সূত্রেই ক্লাস নাইনের ওই ছাত্রীর সঙ্গে উঁচু ক্লাসের আরেক ছাত্রীর গাঢ় বন্ধুত্ব হয়ে যায়। প্রথম প্রথম নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীর সঙ্গে দেখা করতে আসত অন্য ছাত্রীটি। দুজনের মধ্যে গল্পগুজব হত। পরিবারের দাবি, প্রথম-প্রথম মনে হত দুজনের মধ্যে পড়াশোনা নিয়েই গল্পগুজব হয়। পরে তাঁরা বুঝতে পারেন দুজনের সম্পর্ক স্বাভাবিক নয়। শেষপর্যন্ত ওই উঁচু ক্লাসের ছাত্রীকে বাড়িতে আসতে নিষেধ করে দেওয়া হয়। তার পরেও ওই মেয়েটি স্কুটি নিয়ে এসে কিশোরীর সঙ্গে জানালা দিয়ে গল্প করত।

[আরও পড়ুন: রামের পর দুর্গা আবেগে শান বিজেপির! এবার দুর্গাপুজোয় আর্থিক অনুদান কেন্দ্রের]

এদিকে, ওই লুকিয়ে চুরিয়ে এসে গল্প করার বিষয়টি নবম শ্রেণির ছাত্রীর বাবাকে জানিয়ে দেয় প্রতিবেশীরা। ফের ওই ছাত্রীটিকে মেলামেশা করতে নিষেধ করা হয়। মৃত ছাত্রীর বাবা একটি দোকানে কাজ করেন। তিনি জানান, “সম্প্রতি মেয়ের কাছে একটি মোবাইল ফোন দেখতে পাই। ওই ফোন কে দিয়েছে তা জানতে চাইলে কিছুই বলতে চায়নি মেয়ে। বুঝতে পারি ওই মেয়েটিই যোগাযোগ রাখার জন্য মোবাইল কিনে দিয়েছে। তার পরেও খুব বেশি রাগারাগি করিনি। অল্প খাবার খেয়ে উঠে যায়। একমাত্র মেয়ে। মারধরও করিনি কোনওদিন। রাত দশটা নাগাদ বাড়ি ফিরে দেখি গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে।”

ওই ঘটনায় পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে। মৃতদেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।

[আরও পড়ুন: বাংলায় আবার ঘর ভাঙল কংগ্রেসের! এবার তৃণমূলে যোগ অধীর ঘনিষ্ঠ যুব নেতার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup ছাঁদনাতলা toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার