shono
Advertisement

এক দশক পর খুলবে পরিত্যক্ত স্কুল, সরকারি অনুমোদনে খুশি মিঠানির শিক্ষাপ্রেমীরা

প্রতিষ্ঠার ২০ বছর পর সরকারি অনুমোদন বালিকা বিদ্যালয়ের। The post এক দশক পর খুলবে পরিত্যক্ত স্কুল, সরকারি অনুমোদনে খুশি মিঠানির শিক্ষাপ্রেমীরা appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 08:32 PM Jan 12, 2019Updated: 08:32 PM Jan 12, 2019

চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: ৩০ বছর আগে স্বতঃস্ফূর্তভাবে স্কুলের জন্য জমি দিয়েছিল গ্রামের মানুষ। আর্থিক সাহায্যও এসেছিল অঢেল। কিন্তু বাম আমলে কাজ এগোয়নি। বিল্ডিং তৈরি হলেও পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছিল স্কুলবাড়ি। এবার পরিকাঠামোকে কাজে লাগিয়ে নতুন করে আপার প্রাইমারি স্কুল চালুর উদ্যোগ নিল জেলা শিক্ষা দপ্তর। এবার সরকারি স্বীকৃতি পাবে কুলটির মিঠানি গ্রামের বালিকা বিদ্যালয়।

Advertisement

মিঠানি বালিকা বিদ্যালয়ের স্বপ্নপূরণ হতে চলেছে। একসময় পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত কো-এড স্কুল ছিল। কিন্তু ছাত্রীছাত্রীদের সংখ্যা শিক্ষকের তুলনায় বেশি হওয়ায় ছেলে ও মেয়েদের স্কুল আলাদা করে শুরু করার পরিকল্পনা করা হয়। ১৯৮৭ সালে স্কুল পরিচালন কমিটি পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রীদের আলাদা করে দেয়। মর্নিং ইউনিটে চলে পঠনপাঠন। স্কুলকে ভালবেসে এগিয়ে আসেন স্থানীয় শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতিরা। এরপরই নতুন বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি ওঠে। এসএসসি পদ্ধতি শুরু হয়নি তখনও। তাই স্কুলপরিচালন কমিটির হাতেই সব ক্ষমতা ছিল। নতুন ভবন তৈরি করে আরেকটি বিদ্যালয় গড়ার কাজ শুরু হয়। গ্রামের প্রবীণ মহিলা বিনোদিনী চট্টরাজ দু বিঘার বেশি জমি দান করেন নতুন স্কুল ভবনের জন্য। বিধায়ক ও সাংসদ নানা ফান্ড নিয়ে নতুন বিল্ডিং তৈরি হয় এবং ১৯৯৮-এ ফের শুরু হয় বালিকা বিদ্যালয়। বিল্ডিং ও পঠনপাঠন শুরু করার পর কীভাবে সরকারি অনুমোদন আদায় করা যায়, তার চেষ্টা শুরু হয়। কিন্তু ততদিনে স্কুলের শিক্ষক নিয়োগ থেকে স্কুলের পরিচালন চলে যায় স্কুল সার্ভিস কমিশন তথা এসএসসির হাতে। ফলে জটিল নিয়মের মধ্যে সরকারি স্বীকৃতি পাওয়া হয় না এই বিদ্যালয়ের। ২০১০-এ মিঠানি বালিকা বিদ্যালয় ফের খোলার তোড়জোড় শুরু হলেও পড়ুয়ার অভাবে বন্ধ হয়ে যায়। ফলে গ্রামের মানুষের দেওয়া জমি, নতুন ভবন, স্কুলের টেবিল বেঞ্চ, বহু মানুষের আর্থিক ও আন্তরিক সাহায্যে জলে চলে যায়। স্বপ্নভঙ্গ হয়ে যায় গ্রামের মানুষের।

[বউদির সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত স্বামী, প্রতিবাদ করায় গৃহবধূকে খুন]

গত আট-নয় বছরে পরিত্যক্ত স্কুল ভবন হানাবাড়ির রূপ নেয়। এবার এগিয়ে এল জেলা শিক্ষা দপ্তর। আপার প্রাইমারি স্কুল শুরু হবে। ওই বিল্ডিংয়েই শুরু হতে চলেছে বালিকা বিদ্যালয়। নতুন রূপে সরকারি স্বীকৃতিও আসবে। জেলার শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় ১৮টি নতুন আপার প্রাইমারি স্কুল চালু করবে শিক্ষা দপ্তর। সেই তালিকায় নাম রয়েছে মিঠানি বালিকা বিদ্যালয়ের। এই খবরে বেশ খুশি মিঠানির গ্রামবাসীরা। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর স্থানীয় নেতারা পরিত্যক্ত ভবনটিকে কাজে লাগিয়ে নতুন সরকারি স্কুলের আবেদন করেছিলেন। কুলটি তৃণমূলের সম্পাদক চিন্তাহরণ চট্টোপাধ্যায় ও জেলা এসসি-এসটি সেলের সভাপতি মোহন ধীবর জানান, তাঁরা বিধায়ক উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় ও মন্ত্রী মলয় ঘটকের কাছে আবেদন করেন। তারপরই এই স্কুলের সরকারি অনুমোদন আসতে চলেছে। জমিদাতা বিনোদিনী চট্টরাজের ছেলে সুখেন্দু চট্টরাজও বিদ্যালয়ের সরকারি অনুমোদনের খবরে আপ্লুত। তিনি জানান, মন খারাপ ছিল। স্কুল ভবনটি পরিত্যক্ত হয়ে নষ্ট হচ্ছিল। গ্রামবাসীদের মতো তাঁদেরও বাসনা, তাড়াতাড়ি স্কুলটি শুরু হোক। জেলার স্কুল পরিদর্শক অজয় পাল বলেন, মিঠানি, হীরাপুর, রেলপাড়া, বারাবনি, কুলটি, সালানপুর, অন্ডাল, ও পাণ্ডবেশ্বরে স্কুল শুরু হতে চলেছে। এর প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে। পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বাংলা, হিন্দি ও উর্দু মাধ্যমে পড়ানো হবে। শিক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর, স্কুল ভবন সংস্কারের জন্য প্রথম ধাপে সাড়ে চার লাখ টাকা অনুমোদন করা হবে মিঠানি বালিকা বিদ্যালয়কে।

[দায়িত্বে এসে জেলাশাসক নিয়ে মুখে কুলুপ ইনচার্জের, ফেসবুকে ‘নিখোঁজ’ স্ত্রী নন্দিনী]

The post এক দশক পর খুলবে পরিত্যক্ত স্কুল, সরকারি অনুমোদনে খুশি মিঠানির শিক্ষাপ্রেমীরা appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement