গোবিন্দ রায়: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। আদালতে এনিয়ে মামলার পাহাড়। তারই মধ্যে এই সংক্রান্ত আরেকটি মামলায় ফের ক্ষোভপ্রকাশ করলেন কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta HC) বিচারপতি। শিক্ষক বদলিতেও দুর্নীতি! ঝালদার এক স্কুলে বদলি সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর মন্তব্য, “ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করতে হবে। এখন দেখছি বদলিতেও দুর্নীতি! এটা খুবই খারাপ ইঙ্গিত দিচ্ছে।” মামলার পরবর্তী শুনানি ২০ জানুয়ারি।
ঝালদা (Jhalda) হাই স্কুলের এক শিক্ষক বদলি মামলার শুনানি ছিল সোমবার। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে সেই মামলা উঠলে তিনি জেলা স্কুল পরিদর্শককে ডেকে পাঠান। আদালতে জেলা স্কুল পরিদর্শক জানান, ”ঝালদা স্কুলে ২১ জন শিক্ষক ছিলেন, ইতিমধ্যেই ৮ জন বদলি নিয়ে চলে গিয়েছেন। ৬০ শতাংশ শিক্ষকই বদলি নিয়ে অন্য জেলায়। বদলির কারণে গোটা জেলার সব স্কুলের অবস্থা খুব খারাপ। ছাত্র ও শিক্ষক অনুপাত রক্ষা করা যাচ্ছে না।” বিশদে সমস্ত তথ্য দিয়েছেন তিনি। এরপর বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, পড়ুয়াদের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা করতে হবে।
[আরও পডুন: গোয়ায় আয়ুর্বেদের মহাসম্মেলন,বিজ্ঞানের আলোয় পেশ হবে শতাধিক গবেষণাপত্র]
স্কুল পরিদর্শকের বক্তব্য শুনে হাই কোর্টের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়, পড়ুয়াদের কথা না ভেবে কীভাবে এত শিক্ষক বদলি করা হচ্ছে? এর পিছনেও কি দুর্নীতি কাজ করছে? আদালতের পর্যবেক্ষণ, এমন বদলির কারণে শিক্ষকের অভাবে ধুঁকছে অনেক স্কুল। বিশেষ করে গ্রাম্য এলাকায় যেখানে সরকারি স্কুলই (School) ভরসা। সেখানে এমন চললে শিশুরা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে। অনেক স্কুলই তো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
[আরও পডুন: SSKM হাসপাতালে অশান্তি, ‘সামলে দিয়েছি’, জুনিয়র চিকিৎসকদের হেনস্তা নিয়ে মন্তব্য মমতার]
বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর মন্তব্য, “ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করতে হবে। এখন দেখছি শিক্ষক বদলিতেও দুর্নীতি! এটা খুবই খারাপ ইঙ্গিত দিচ্ছে।” বিষয়টি নিয়ে ২ সপ্তাহের মধ্যে পুরুলিয়া (Purulia) জেলার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে রিপোর্ট দিতে হবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২০ জানুয়ারি।