সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নজির গড়লেন চিনা মহাকাশচারীরা। বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ‘স্পেসওয়াক’-এর। তিয়াংগং অর্থাৎ চাইনিজ স্পেস স্টেশনের (সিএসএস) নানাবিধ কাজ সম্পাদনের জন্য ‘স্পেসওয়াক’ করতে হয়েছিল চিনা নভশ্চরদের। দফায় দফায় সেই সূত্রেই অভিযান করেছেন মোট ১৭ জন মহাকাশচারী। ২০২১ সালের জুলাই মাস থেকে শুরু হয়েছিল সেই অভিযান। জানা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত ১৬ বার হয়েছে ‘স্পেসওয়াক’, যা নতুন রেকর্ড। আক্ষরিক অর্থেই মহাকাশ গবেষণা তথা মহাশূন্য অভিযানে বিশ্ব মানচিত্রে নিজেদের গরিমা আরও বাড়িয়ে ফেলল চিন।
সাম্প্রতিক শেনঝৌ-১৮ মিশনে ছিলেন তিন জন চিনা নভশ্চর। ইয়ে গুয়াংফু, লি কং এবং লি গুয়াংসু। তাঁরা এই অভিযানে তাঁদের দ্বিতীয় ‘স্পেসওয়াক’টি করেন। তবে ২০২১ সাল থেকে (সূচনা) থেকে ধরলে তা ছিল ১৬-তম। ব্যক্তিগতভাবে লি কং-এর ছিল এটি প্রথম ‘স্পেসওয়াক’। চিনে নভশ্চরদের ‘অ্যাস্ট্রোনট’ বলা হয় না। ডাকা হয় ‘টাইকোনট’ নামে।
[আরও পড়ুন: ‘অযোধ্যার মতো গুজরাটেও বিজেপিকে হারাব’, আহমেদাবাদে দাঁড়িয়ে চ্যালেঞ্জ রাহুলের]
জানা যাচ্ছে, গত ২৮ মে-র অভিযানে শেনঝৌ-১৮ ক্রু সদস্যরা আরও একটি রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন। আর সেটা হল, চিনের ইতিহাসে দীর্ঘতম সময় ধরে ‘স্পেসওয়াক’ করার। ক্রু-সদস্যরা সাড়ে আট ঘণ্টা ধরে ‘স্পেসওয়াক’ করেন। তৈরি হয় নতুন রেকর্ড। তবে চিনের ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত ‘ব্যস্ততম স্পেস ক্রু’-র তকমা পেয়েছে শেনঝৌ-১৪ ক্রু। চিনা সোশাল মিডিয়ায় তাঁদের এই নামকরণ করা হয়েছে। কারণ তাঁরা ‘এক্সট্রাভেহিকুলার অ্যাক্টিভিটি’ তথা ‘ইভিএ’-র অংশ হিসাবে বরাদ্দ সময়ের মধ্যেই তিন বার ‘স্পেসওয়াক’ করে ফেলেছিলেন। এবং সবচেয়ে কম সময়ে তা করেছিলেন।
[আরও পড়ুন: স্টার্মারকে ফোনে জয়ের অভিনন্দন মোদির, আমন্ত্রণ জানালেন ভারত সফরেরও]
আবার শেনঝৌ-১৫ মিশনও ছিল খবরে। কারণ সেটি ছ’মাসের মেয়াদে চারবার স্পেসওয়াক করেছিলেন, যা কোনও ‘সিঙ্গল ক্রু’-দ্বারা করা সবচেয়ে বেশি ‘ইভিএ’।