মণিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: সর্দিকাশি, সুগার, প্রসার সহ নানা রোগ নিরাময়ে এখন অনেকে জোর দিচ্ছে ভেষজ উদ্ভিদের উপর। তাই এ বিষয়ে পড়ুয়াদের সচেতন করতে ও আগ্রহ বাড়াতে বিদ্যালয়েই ভেষজ উদ্ভিদের বাগান করল বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি সেটা তারা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছেন। এমনই ব্যবস্থাপনা হয়েছে উলুবেড়িয়ার বাড়মংরাজপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
বিদ্যালয়ে বনমোহোৎসব সপ্তাহ পালনের মধ্যে দিয়ে এই 'ভেষজ উদ্যান' এর শুভ উদ্বোধন হল। উপস্থিত ছিলেন প্রধান শিক্ষক রাজদূত সামন্ত, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তথা শিক্ষারত্ন পুরষ্কারপ্রাপক শিক্ষক তাপস বাঙাল প্রমুখ। পাথরকুচি, বহেড়া, বিশল্যকরনী, সাদা আকন্দ, রামতুলসী, আমলকী, শিউলি, থানকুনি, বাসক, মালবেরি , ব্ল্যাকবেরি, স্টিভিয়া, ননিফল, গুরমার ইলেক্ট্রিক ডেইজি-সহ প্রায় ৪০ প্রকার ভেষজ উদ্ভিদ দ্বারা লাগিয়েছে বাগানে।
[আরও পড়ুন: অনির্দিষ্টকালের জন্য ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটের ডাক, রাজ্যজুড়ে অগ্নিমূল্য আলু, জোগানেও টান]
প্রধান শিক্ষক রাজদূত সামন্ত বলেন, "বিদ্যালয়ের বেশিরভাগই অত্যন্ত সাধারণ পরিবার থেকে আসে। এই ভেষজ গাছের মাধ্যমে আমরা শিশুদের সর্দিকাশি, পেটেব্যথা, দাঁতের যন্ত্রণা প্রভৃতি ছোটখাটো সমস্যাগুলো বিদ্যালয়েই উপশম করে দিতে পারছি এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও গড়ে তুলতে পারছি। বিদ্যালয়ে অনুপস্থিতও হচ্ছে না। ফলে এই ভাবে স্কুলছুট শিশু কমছে।"
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় দেড় কাঠা জায়গার উপরে তারা ভেষজ উদ্ভিদের এই বাগান করেছেন। এছাড়া বিদ্যালয়ে সবজি বাগান, ফলের বাগান রয়েছে। এবার স্কুল কর্তৃপক্ষ ভেষজ উদ্ভিদের বাগান করল। এই বাগান করতে তাদের পূর্ণ সহযোগিতা করেছেন তাপস বাঙাল। তিনি নিজে পেশায় শিক্ষক হলেও মননে একজন গাছপ্রেমী। নিজে খরচ করে ফল ফুল ভেষজ গাছ তৈরি করে বিনা পয়সায় তা লোকেদের মধ্যে বিতরণ করেন। কয়েক হাজার গাছের চারা তিনি বিতরণ করেছেন।