অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: সাঁতরাগাছি (Santragachi) ঝিলে কী ধরনের, কত সংখ্যক বিদেশি পাখি আসে তার একটি গণনা করল পশ্চিমবঙ্গ জীববৈচিত্র পর্ষদ। পাশাপাশি পর্ষদের তরফে বিভিন্ন কলেজের ছাত্রছাত্রীদের চেনানো হল পাখি। এছাড়া সাঁতরাগাছি ঝিলের সঙ্গে সঙ্গে শীতে হাওড়া জেলায় আর কোথায় কোথায় বিদেশি পরিযায়ী পাখির আগমন ঘটে তা নিয়ে সমীক্ষা শুরু করলেন পর্ষদের সদস্য তথা গবেষক ও প্রাণীবিদ্যার অধ্যাপকরা।
বৃহস্পতিবার দিনভর সাঁতরাগাছি ঝিলে পশ্চিমবঙ্গ জীববৈচিত্র পর্ষদের তরফে একটি কর্মশালা হয়। এই কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন পর্ষদের সদস্য তথা বিভিন্ন কলেজের প্রাণীবিদ্যার অধ্যাপকরা। প্রায় দেড়শো জন ছাত্রছাত্রীকে নিয়ে তাঁরা স্পটিং স্কোপ, বাইনোকুলার, ক্যামেরার মাধ্যমে ঝিলে আসা পাখি দেখেন। সেগুলি ছাত্রছাত্রীদের চেনান ও পাখির গণনা করেন।
[আরও পড়ুন: জামিনের আবেদন করলেন না অনুব্রত, ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে তৃণমূল নেতা]
এদিন কর্মশালার পর হাওড়া শিবপুরের দীনবন্ধু ইনস্টিটিউশন কলেজের প্রাণিবিদ্যার অধ্যাপক শুভেন্দু মজুমদার জানালেন, প্রায় সাড়ে চার হাজার থেকে পাঁচ হাজার পাখি তাঁরা সাঁতরাগাছি ঝিলে আসতে দেখেছেন। বৃহস্পতিবার ‘বিশ্ব জলাভূমি দিবসে’ বর্তমানে পাখিরা প্রকৃতির কোলে কতটা সুরক্ষিত রয়েছে তা-ও এদিন বোঝার চেষ্টা করেন পক্ষীপ্রেমীরা।
এদিন কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন পর্ষদের সিনিয়র রিসার্চ অফিসার সৌমেন্দ্রনাথ ঘোষ, শ্রীরামপুর কলেজের প্রাণীবিদ্যার অধ্যাপক শুভদীপ সরকার, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যার গবেষক শৌভিক বারিক ও অন্তরা সরকার। প্রসঙ্গত, শীতে অনেক পরিযায়ী পাখির (Migratory Birds) ঠিকানা এই সাঁতরাগাছি (Santragachhi) ঝিল। এবছর শীত জাঁকিয়ে পড়ার আগে থেকেই তাদের আগমন শুরু হয়েছে। এই ঝিলে প্রায় ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে পরিযায়ী পাখিরা আসে। করোনা পরিস্থিতিতে পরিবেশ দূষণের মাত্রা কমার পরে ভিড় বেড়েছিল ঝিলে।