সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর মুকুটে জুড়তে চলেছে নয়া পালক। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে প্রথমবার পা রাখা চন্দ্রযান-৩ এর সাফল্যকে সম্মান জানিয়ে ইসরোকে দেওয়া হবে 'ওয়ার্ল্ড স্পেস অ্যাওয়ার্ড'। আগামী ১৪ অক্টোবর ইতালির মিলানে আয়োজিত হতে চলেছে ৭৫তম আন্তর্জাতিক মহাকাশ যাত্রী সম্মেলন। সেই অনুষ্ঠানে ইসরোর হাতে এই পুরস্কার তুলে দেবে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনটিক্যাল ফেডারেশন।
গত বৃহস্পতিবার 'ওয়ার্ল্ড স্পেস অ্যাওয়ার্ড' প্রাপক হিসেবে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর নাম ঘোষণা করে ওই আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনটিক্যাল ফেডারেশন। পাশাপাশি ইসরোর উদ্দেশে এক প্রশংসাসূচক বিবৃতিতে জানানো হয়, 'ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনটিক্যাল ফেডারেশন জানিয়েছে, ভারত ছাড়াও এখন পর্যন্ত আমেরিকা, রাশিয়া এবং চিন চাঁদে সফল অবতরণ করেছে। তবে ISRO-এর এই মিশন চন্দ্রযান-৩ বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং সাশ্রয়ী ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এক অনন্য উদাহরণ। এটি মহাকাশ অনুসন্ধানে ভারতের বিপুল সম্ভাবনার প্রতীক। ফেডারেশন জানিয়েছে যে চন্দ্রযান-3 চাঁদের গঠন এবং ভূতত্ত্বের অদেখা দিকগুলি প্রকাশ করেছে বিশ্ববাসীর সামনে। যা আগামী দিনে মহাকাশ গবেষণায় এক নয়া দিক খুলে দিয়েছে।'
[আরও পড়ুন: অতীত থেকে শিক্ষা, ধর্মীয় উৎসবে অশান্তি এড়াতে নুহতে বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা]
দ্বিতীয় চন্দ্রাভিযানে আংশিক সাফল্য পেয়েছিল ভারত। সেবার লক্ষ্য পুরণে ব্যর্থ হলেও, ২০২৩ সালের ২৩ অগাস্ট চাঁদের দক্ষিণ পৃষ্ঠে সফলভাবে অবতরণ করে চন্দ্রযান-৩। প্রতিটি ভারতবাসীর কাছে যা ছিল এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। গোটা বিশ্ব সেদিন ভারতের ইসরোর সাফল্যের জয়গান গায়। এই বিরাট সাফল্যকে সম্মান জানিয়ে ২৩ অগাস্ট দিনটিকে 'জাতীয় মহাকাশ দিবস' (National Space Day) হিসেবে ঘোষণা করে ভারত সরকার। সেই সাফল্যের এক বছর পর অবশেষে বিশ্ব মঞ্চে সাফল্যের স্বীকৃতি পেল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।
[আরও পড়ুন: ‘না ভেবে নেওয়া সিদ্ধান্ত’, কানোয়ার যাত্রা বিতর্কে যোগী সরকারকে তোপ বিজেপির শরিকের]
যদিও শুধু চন্দ্রযান-৩ তেই থেমে নেই ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। এর পর চন্দ্রযান-৪, মঙ্গল অভিযানের পাশাপাশি ২০৪০ সালে চাঁদের মানুষ পাঠানোর লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে ভারতের গৌরব ইসরো।