shono
Advertisement

বছর শুরুতেই মহাকাশে বড় পদক্ষেপ ভারতের, কৃষ্ণগহ্বরের খোঁজে পাড়ি দিল স্যাটেলাইট

ইসরোর সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে দেশের প্রথম এক্স-রে পোলারিমিটার স্যাটেলাইট (XPoSat) সফলভাবে পাড়ি দিল মহাকাশে। মহাশূন্যের অসীম রহস্যে ভরা কৃষ্ণগহ্বর বা ব্ল্যাক হোলের সন্ধান করবে এই XPoSat.
Posted: 09:37 AM Jan 01, 2024Updated: 10:00 AM Jan 01, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন বছরের সূচনাতেই মহাকাশ গবেষণায় সাফল্যের মুখ দেখল ভারত (India)। ইসরোর সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে দেশের প্রথম এক্স-রে পোলারিমিটার স্যাটেলাইট (XPoSat) সফলভাবে পাড়ি দিল মহাকাশে। মহাশূন্যের অসীম রহস্যে ভরা কৃষ্ণগহ্বর বা ব্ল্যাক হোলের (Black Hole) সন্ধান করবে এই XPoSat. সোমবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটে কৃত্রিম উপগ্রহটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। তার আগের কয়েক মুহূর্ত একেবারে দমবন্ধ করে ইসরোর (ISRO) কন্ট্রোল রুমে অপেক্ষার প্রহর কাটান বিজ্ঞানীরা। অবশেষে এক্সপোস্যাটের সফল উৎক্ষেপণে তার অবসান ঘটে। বছর শুরুতেই খুশির হাওয়া দেশের সবচেয়ে বড় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রে। উল্লেখ্য, এ ধরনের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে ভারত বিশ্বে দ্বিতীয় স্থান পাকা করে নিল। এর আগে একমাত্র আমেরিকার (USA) দখলে ছিল এই সাফল্য।

Advertisement

 

এমন গুরুত্বপূর্ণ মিশনের জন্য নতুন বছরের শুরুর দিনটাই বেছেছিলেন ইসরোর মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। জানা যাচ্ছে, মূলত দুটি অংশের মাধ্যমে মহাকাশে কাজ করবে এক্সপোস্যাট। একটি পোলিক্স বা Polarimeter Instrument in X-Ray, অপরটি এক্সস্পেক্ট (X-ray Spectroscopy)। পৃথিবী থেকে খুব বেশি দূরে যাবে না এই কৃত্রিম উপগ্রহ। মাটি থেকে সর্বোচ্চ ৭০০ কিলোমিটারের মধ্যে থাকবে এক্সপোস্যাট। সেখানেই কৃষ্ণগহ্বর এবং উজ্জ্বল জ্যোতিষ্কের খোঁজ করবে ইসরোর এই স্যাটেলাইট। পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে প্রতিনিয়ত তথ্য পাঠাবে ইসরোর কন্ট্রোল রুমে। আর তা বিশ্লেষণ করেই জানা যাবে আমাদের সৌরজগতের কৃষ্ণগহ্বর ও অন্যান্য শক্তির উৎস সম্পর্কে। এমনই খবর দেশের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রে সূত্রে।

[আরও পড়ুন: অবসর গ্রহণের পরই নতুন দায়িত্বে হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, আর্থিক উপদেষ্টা পদে নিয়োগ মুখ্যমন্ত্রীর]

এক্সপোস্যাট মোট ৫ বছর কাজ করতে পারবে মহাশূন্যে। সেভাবেই তাকে তৈরি করা হয়েছে। মূলত এক্স রে পোলারিমিটারের সাহায্যে পৃথিবীর আশেপাশে থাকা অন্যান্য আলোর উৎস খুঁজবে এক্সপোস্যাট। এর পোলিক্স অংশে উচ্চমাত্রার এক্স রশ্মি নির্গত হবে। আর পরবর্তী অংশ মূলত নির্গত এক্স রশ্মির মাত্রাবদলের দিকে নজর রেখে পরিবর্তন সংক্রান্ত তথ্য পাঠাবে। তা বিশ্লেষণ করলেই কৃষ্ণগহ্বর বা অন্যান্য জ্যোতিষ্কের আলোক শক্তি সম্পর্কে ধারণা করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। সেদিক থেকে ইসরোর এই এক্সপোস্যাট মিশন বিশ্বের মহাকাশ গবেষণায় অনেকটাই অগ্রণী ভূমিকা নেবে নিঃসন্দেহে।

[আরও পড়ুন: যৌন হেনস্তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ? দলিত তরুণীকে ফুটন্ত তেলের কড়াইয়ে ফেলে ‘শাস্তি’!]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement