সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ও চাঁদ সামলে রেখো জোছনাকে’। ভরা পূর্ণিমায় গোল থালার মতো চাঁদের ফুটফুটে আলো বাংলার গীতিকারকে দিয়ে লিখিয়ে নিয়েছিল এমন কথা। কিন্তু সৌরজগতের সবথেকে বড় ‘চাঁদ’ (Biggest Moon in Solar System) বৃহস্পতির (Jupiter) উপগ্রহ জেনিমেডের (Ganymede) জ্যোৎস্না আজও মানুষের কল্পনাতীত। তবে সেই সৌন্দর্য অধরা থাকলেও এবার অতিকায় জেনিমেডের ছবি তুলে ফেলল নাসার মহাকাশযান জুনো। যা দেখে তাক লেগে গেল জ্যোতির্বিজ্ঞানী থেকে সাধারণ মানুষদেরও।
প্রায় ২ দশক পরে কোনও মহাকাশযান বৃহস্পতির উপগ্রহের এত কাছে পৌঁছল। জেনিমেডের ভূমিপৃষ্ঠ থেকে ১ হাজার কিলোমিটার উপর থেকে তুলল ছবিও। জুনোর অরবিটারের জুনোক্যাম এবং স্টেলার রেফারেন্স ইউনিট স্টার ক্যামেরার সম্মিলিত ভাবে তোলা নতুন এই ছবিগুলিতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে আয়তনে বুধের চেয়েও বড় বৃহস্পতির এই উপগ্রহের অন্ধকার ও উজ্জ্বল নানা অঞ্চল। নাসার দাবি, বরফে ঢাকা জেনিমেডের প্রায় সম্পূর্ণ পৃষ্ঠের ছবিই তুলে ফেলেছে জুনো।
[আরও পড়ুন: মিলল ডাইনোসরদের নতুন এক প্রজাতির সন্ধান! বিস্মিত বিজ্ঞানীরা]
এখানেই শেষ নয়। পরবর্তী লক্ষ্য, এই অতিকায় চাঁদের রঙিন ছবি তোলা। নাসা জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিন জেনিমেডের আরও ছবি পাঠাবে জুনো। সেই সব ছবির দিকে অধীর আগ্রহে তাকিয়ে রয়েছে নাসার বিশেষজ্ঞরা। মনে করা হচ্ছে এই সব ছবি থেকে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জেনিমেডের আবহাওয়া, গঠন বরফের আচ্ছাদন প্রভৃতি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা করতে পারবেন। হয়তো উঠে আসবে কোনও নতুন দিকও।
২০১১ সালে গ্রিক দেবতা জুপিটারের স্ত্রী জুনোর নামে নামাঙ্কিত এই যান পৃথিবীর কক্ষপথ ত্যাগ করে। ২০১৬ সালে সেটি গন্তব্যে পৌঁছয়। অর্থাৎ বৃহস্পতির কক্ষে। সেই থেকে সেখানেই পাক খেয়ে চলেছে জুনো। তার মূল লক্ষ্য বৃহস্পতির জন্ম বৃত্তান্ত ও তারপর থেকে বিবর্তনের নানা দিক খুঁজে বের করা। যদিও বৃহস্পতির আকাশ ঢাকা ঘন মেঘে। তবুও তারই মধ্যে অসাধ্য সাধন করে চলেছে জুনো। এবার বৃহস্পতিবর অন্যতম উপগ্রহের ছবি তুলে সাড়া ফেলে দিল যানটি।