সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্রিটেনজুড়ে (UK) ফের তাপপ্রবাহের দাপট। লাফিয়ে বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। গত শুক্র-শনিবার উষ্ণতা বেড়ে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে পৌঁছতে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই জারি করা হয়েছে ‘অ্যাম্বার’ সতর্কতা (লালের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্তরের সতর্কতা)। এত প্রবল তাপপ্রবাহ ইতিপূর্বে দেখা গিয়েছিল ১৯৭৬ সালে, যদিও তখন তাপমাত্রার পারদ এতটা চড়েনি। আর এবারের তাপে রূপ হারাচ্ছে টেমস নদী (Thames River)। তার উৎসমুখ অনেকটা শুকিয়ে গিয়েছে।
হাওয়া অফিস সূত্রে জানানো হয়েছে, ব্রিটেনে এই প্রথম গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেড়ে ৩০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড পেরিয়ে গিয়েছে। এই পর্বে ইতিমধ্যেই দু’টি উষ্ণতম দিন (Hottest day) নথিবদ্ধ হয়েছে। এমনটা এর আগে ঘটেছিল ১৯৬০ সালে। বস্তুত, আবহাওয়া বিভাগ আগামী দিনগুলির জন্য খুব একটা আশার খবর শোনাতে পারেনি। তারা জানিয়েছে, বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। আগামী সপ্তাহে তাপমাত্রা আরও বাড়বে।
[আরও পড়ুন: সাড়ে ৪ ঘণ্টায় জিব্রাল্টার প্রণালী পার বাংলার সাঁতারু তাহরিনার, খুশির হাওয়া উলুবেড়িয়ায়]
তীব্র গরমে তৈরি হয়েছে আরও একটি আশঙ্কা। লন্ডনের (London) ‘মুকুট’ যে যে টেমস নদী, তা কি অদূর ভবিষ্যতে শুকিয়ে যাবে? আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, যে ভাবে গরম বাড়ছে তাতে আগামী দিনে খরার মুখও দেখতে হতে পারে ইংল্যান্ডকে। ইতিমধ্যেই টেমস নদীর উৎসমুখ আগের তুলনায় অনেকটাই শুকিয়ে গিয়েছে। ফলে আশঙ্কা ক্রমশ তীব্র হচ্ছে যে, টেমস অচিরেই শুকিয়ে (Dried up) যেতে পারে। অ্যাস্টন কেনসের কাছে টেমসের উৎসমুখ পুরো শুকিয়ে গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: তেলমশলা দেওয়া খাবারে ‘না’, ভাত-ডাল-আলু সেদ্ধতেই খুশি CBI হেফাজতে থাকা অনুব্রত]
১৯৭৬ সালের পর ঘটল এহেন পরিস্থিতি। প্রসঙ্গত, ৩৪৬ কিলোমিটার দীর্ঘ টেমস বয়ে গিয়েছে লন্ডন-সহ গোটা দক্ষিণ ইংল্যান্ড জুড়ে। টেমসের উৎস প্রতি বছর গ্রীষ্মেই কিছুটা শুকিয়ে যায়। তবে এ বছর আগের বছরগুলির তুলনায় অনেকটাই বেশি শুকিয়ে গিয়েছে এই নদী। রিভার্স ট্রাস্ট-এর পলিসি অ্যান্ড সায়েন্স ডিরেক্টর রব কলিন্স জানিয়েছেন, তাপমাত্রা ক্রমাগত বাড়তে থাকার কারণে গ্লস্টারশায়ারের কাছে টেমসের উৎসমুখ শুকিয়ে গিয়েছে। নদীর স্রোতও ক্রমে দুর্বল হচ্ছে।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে, ১৯৩৫ সালের পর এমন শুষ্ক জুলাই মাস আগে দেখেনি ব্রিটেন। কেবল হাওয়া অফিসের বিশেষজ্ঞরাই নন, এত গরম আগে কখনও পড়েনি বলে দাবি করছেন আম ব্রিটিশরা। ওয়েলসের বাসিন্দা রায়ান জানিয়েছেন, ‘‘এমন বীভৎস গরম আগে কখনও দেখিনি।’’