সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বরফাবৃত আন্টার্কটিকা (Antarctica) মহাদেশের বরফ গলনই এই শতাব্দীতে আবহাওয়া বদলের সবচেয়ে খারাপ প্রভাব। সম্প্রতি এক গবেষণার রিপোর্ট প্রকাশ করে এমনই উদ্বেগের খবর জানালেন পরিবেশ বিজ্ঞানীরা। এই বিপুল পরিমাণ বরফ গলে সমুদ্রের জলস্তর রেকর্ড বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে উপকূলীয় অঞ্চলের জনজীবনে ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে রিপোর্টে প্রকাশ।
২০০৭ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত গ্রিনল্যান্ড (Greenland) এবং আন্টার্কটিকার বরফ এত পরিমাণ গলেছে যে সমুদ্রের জলতল ৬৫ থেকে ৭০ মিটার বেড়েছে। এ নিয়ে ইন্টারগভর্মেন্টাল প্যানেল ফর ক্লাইমেট চেঞ্জের (IPCC) হিসেব এলোমেলো করে দিয়েছে বরফ গলন। আর তাতে বেড়েছে উদ্বেগ। বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাবে প্রকৃতির এই পরিবর্তন নিয়ে ২০১৪ সালে প্যানেলের যে ধারণা ছিল, তা থেকে অনেকটাই অন্যরকম হয়েছে বাস্তব পরিস্থিতি। এই শতকের শেষে হয়ত পৃথিবীর তুষারাবৃত অঞ্চল বলে আর কিছু থাকবে না।
[আরও পড়ুন: গনগনে উত্তপ্ত পৃথিবীতে জলধারা এল কোথা থেকে? নতুন উৎস খুঁজে বের করলেন বিজ্ঞানীরা]
সেন্টার ফর পোলার অবজারভেশন বা মেরু অঞ্চলের পরিবেশ নিয়ে বিশেষজ্ঞ গবেষক থমাস স্লেটারের কথায়, “আমরা একটা নতুন সমস্যার মধ্যে প্রবেশ করছি। এই মুহূর্তে যে বরফের চাদর গলছে, তা তো আছেই। একইসঙ্গে অন্য একটি স্তরও গলা শুরু করেছে। এত দ্রুত এটিও গলবে, তা আমাদের ধারণার বাইরে ছিল।” পরিসংখ্যান বলছে, শুধুমাত্র গত বছরেই গ্রিনল্যান্ডে বরফ গলেছে ৫৩২ বিলিয়ন টন, যা কি না অলিম্পিকের ৬ টি পুলের সমান। আর সেই পরিমাণ বরফই সমুদ্রস্তর বাড়িয়ে তুলেছে ৪০শতাংশ! এর প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে চলেছেন উপকূল অঞ্চলের মানুষজন। শতাব্দীর মধ্যভাগে অন্তত ৫ কোটি মানুষ বানভাসি হতে পারেন। বিজ্ঞানী থমাস স্লেটার আরও জানাচ্ছেন যে এই বেহিসেবী বরফ গলন পরিবেশ সংক্রান্ত যে কোনও রকম সিদ্ধান্ত অথবা নীতি নির্ধারণে বড়সড় প্রতিকূলতা তৈরি করবে।
[আরও পড়ুন: ধীরে ধীরে সবুজ ফিরছে থর মরুভূমিতে, বাস্তুতন্ত্রের জন্য ভাল লক্ষণ নয়! চিন্তায় পরিবেশবিদরা]
The post পাল্লা দিয়ে গলছে বরফের চাদর, আন্টার্কটিকার পরিস্থিতিতে মাথায় হাত বিজ্ঞানীদের appeared first on Sangbad Pratidin.