shono
Advertisement
Coral reef

সমুদ্রতলে প্রলয়! অস্ট্রেলিয়ায় দ্রুত ধ্বংসের পথে এগোচ্ছে প্রবাল প্রাচীর

প্রবল সংকটে প্রবালের অস্তিত্ব।
Published By: Sucheta SenguptaPosted: 05:00 PM Aug 12, 2025Updated: 05:10 PM Aug 12, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শেষের সেদিন গুনছে পৃথিবী! সর্বদিক থেকে ধ্বংসের নাগপাশ যেন আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলেছে। উষ্ণায়নের সর্বগ্রাসী দাপট পাহাড় থেকে সমুদ্র, মেরু থেকে ভূগর্ভ - ধীরে ধীরে মৃত্যুর পথে এগোচ্ছে বললেও অত্যুক্তি হয় না। পৃথিবীর যেদিকে যত সৌন্দর্য, সবই যেন চাপা পড়ে যাচ্ছে। সমুদ্রের তলদেশ আলো করে রাখা যে প্রবাল দ্বীপের আকর্ষণে স্কুবা ডাইভিংয়ের মতো অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসে পা বাড়াতে মানুষ ভয় পায় না, সেই সৌন্দর্য ফিকে হচ্ছে ক্রমশ। সাম্প্রতিক সমীক্ষায় অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিম উপকূলের প্রবাল প্রাচীরের বিপন্নতার কথা উঠে এল। বলা হচ্ছে, দীর্ঘতম ও বৃহত্তম ধ্বংসযজ্ঞ চলছে সেখানে! ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের মে মাস পর্যন্ত যেভাবে সমুদ্রে উষ্ণায়ন হয়েছে, তা নজিরবিহীন। তবে কি প্রবালের অস্তিত্ব প্রবল সংকটে?

Advertisement

অস্ট্রেলিয়ান ইনস্টিটিউট অফ মেরিন সায়েন্স সূত্রে খবর, পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় নিনগালু ও কিম্বারলির রোলি শোলসের প্রবাল প্রাচীর ছিল সবচেয়ে সুরক্ষিত। এখন তাতেও অভিশাপ লেগেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের সময়ে প্রায় ১৫০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা ছিল অক্ষত। কিন্তু এবার সেখানে ধ্বংস শুরু হয়েছে। সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে, ২০২৪-২৫ সালে সবচেয়ে বেশি সাফ হয়েছে প্রবাল দ্বীপ, যাকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় 'ব্লিচিং'। প্রবাল প্রাচীরের কারণে নিনগালু দ্বীপ 'ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট' হিসেবে পরিচিত, ঠিক যেমনটা অস্ট্রেলিয়া পূর্বের গ্রেট বেরিয়ার রিফ।

এভাবেই মৃত্যুর মুখে পড়ছে প্রবাল প্রাচীর।

সেখানকার পরিবেশ মন্ত্রী মারে ওয়াট বলছেন, ''প্রবাল দ্বীপ বাঁচাতে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ প্রয়োজন। অবিলম্বে কার্বন নিঃসরণ শূন্য হওয়া দরকার। কারণ, বিশ্বজুড়ে ওই কার্বনের পরিমাণ বৃদ্ধি হওয়াই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর।'' আগেই এ বিষয়ে সতর্ক করেছিল রাষ্ট্রসংঘের পরিবেশ সংক্রান্ত বিভাগ। বলা হয়েছিল, সমুদ্রের জলতলের গড় উষ্ণতা দেড় ডিগ্রি বেড়েছে। এমনটা চলতে থাকলে ৭০ থেকে ৯০ শতাংশ প্রবালই মৃত্যুমুখে পড়বে। তাই অবিলম্বে হু হু উষ্ণতা বৃদ্ধির দৌড় থামাতে হবে। বিজ্ঞানী জেমস গিলমার বলছেন, "উষ্ণতাবৃদ্ধির জেরে বিভিন্ন অংশের সমুদ্রের তলদেশে যে পরিমাণ প্রভাব পড়ছে, তা আমরা আগে দেখিনি। যা ক্ষতি হল, তা পূরণ করতে ১০ থেকে ১৫ বছর সময় লাগবে।'' এসব দেখেশুনে সমুদ্রপ্রেমীদের মনখারাপ। তবে কি সমুদ্রে ডুব দিলে আর জড়িয়ে ধরবে না রঙিন প্রবালের মায়াজাল?

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • সমুদ্রে উষ্ণায়নের জেরে চরম সংকটে প্রবাল প্রাচীর।
  • অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিমাংশের বিস্তীর্ণ প্রবাল প্রাচীর মৃতপ্রায়।
  • সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে, ২০২৪-২৫ সালে সবচেয়ে বেশি সাফ হয়েছে প্রবাল দ্বীপ।
Advertisement