সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফোনের ওপারে সুন্দরী মহিলার হাতছানি! কখনও মিষ্টি কথায় মন ভোলানোর চেষ্টা! কখনও ‘দুষ্টু’ ছবি বা ভিডিও পাঠানো। এসবই আসলে ফাঁদ। যে ফাঁদে পা দিয়ে সর্বস্ব খোয়ালেন DRDO-র এক শীর্ষ বিজ্ঞানী।
অভিযোগ, পাকিস্তানের পাতা হানিট্র্যাপের ফাঁদে পড়ে সেদেশের গোয়েন্দাদের হাতে ভারতের অস্ত্রশস্ত্রের গবেষণা সংক্রান্ত গোপন তথ্য তুলে দিচ্ছিলেন ৫৯ বছর বয়সী এক বিজ্ঞানী। বুধবার তাঁকে পুণে থেকে গ্রেপ্তার করেছে মহারাষ্ট্রের সন্ত্রাস দমন শাখা। মহারাষ্ট্র ATS সূত্রের খবর, DRDO’র ওই শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানী হোয়াটসঅ্যাপ এবং ভিডিও কলের মাধ্যমে যোগাযোগ রেখেছিলেন পাক গোয়েন্দাদের সঙ্গে।
[আরও পড়ুন: বোর্ডের করা জরিমানার টাকা মেটাবেন না কোহলি, গম্ভীরের কী হবে?]
জানা গিয়েছে ৫৯ বছর বয়সী ওই গবেষক ডিআরডিও-তে বেশ উঁচু পদেই কর্মরত ছিলেন। জানা গিয়েছে পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের একটি মিসাইলের ছবি পাঠিয়ে দিয়েছিলেন ওই গবেষক। সেই মিসাইলটি কোথায় রাখা হয়েছে, সেটাও জানিয়ে দিয়েছিলেন। হানিট্র্যাপের ফাঁদে পড়ে নিজের কিছু নগ্ন ছবিও পাক গোয়েন্দাদের পাঠিয়েছিলেন ওই সিনিয়র অফিসার। সেই ছবিগুলি ব্যবহার করেই পরে তাঁকে ব্ল্যাকমেইল করা হয়। DRDO’রই দুর্নীতি দমন শাখার এক আধিকারিক ওই বিজ্ঞানীর বিরুদ্ধে মহারাষ্ট্র ATS-এ অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আগামী ৯ মে পর্যন্ত ওই বিজ্ঞানীকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে ATS।
[আরও পড়ুন: ‘আমি তো জীবন্ত লাশ’, মালদহে ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ মঞ্চ থেকে কেন একথা বললেন মমতা?]
প্রসঙ্গত, সারা বিশ্বেই এখন তথ্য হাতানোর জন্য ‘হানিট্র্যাপ’ একটি পরিচিত কৌশল। এরআগে বহুবার এই কৌশলে ভারতীয় আধিকারিকদের কাছ থেকে তথ্য জানার চেষ্টা চালিয়েছে পাকিস্তান। এবং প্রায় প্রতিবারই ব্যর্থ হয়েছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই (ISI)। কিন্তু তাতেও ক্ষান্ত হচ্ছে না পাকিস্তান।